বলিউড বাদশা নিজের ৫০তম জন্মদিনে ভারতের অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। বলেছিলেন, দেশে চরম অসহিষ্ণুতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা কয়েক দিনের মধ্যেই অন্ধকার যুগে ফিরে যাবো। তবে কিছুদিনের মাথায় নিজের কথা এবার ফিরিয়ে নিয়ে শাহরুখ বলেন, ‘কখনোই আমি বলিনি ভারত অসহিষ্ণু ।
গত সোমবার মিড ডে’র সঙ্গে আলাপকালে শাহরুখ অসহিতা নিয়ে করা মন্তব্যকে অস্বীকার করে বলেন, ‘কখনোই আমি বলিনি ভারত অসহিষ্ণু। আমি যখনই কোনো বিষয় সম্পর্কে বলি প্রায়ই সেগুলোকে বিকৃত ভাবে, ভুল ভাবে উপস্থাপন করা হয়। এটা খুবই বিরক্তিকর।’
কিং খান আরো বলেন, আমাকে যখন ধর্মীয় অসহিষ্ণু বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিলো আমি বলেছিলাম, এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে না। কিন্তু তারা যখন জোর করলো, আমি তখন শুধু বলেছিলাম, যুব সমাজকে এই ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল দেশটার প্রতি নজর দেয়া উচিত।
তবে শাহরুখের এ মন্তব্যের পরপর ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলো বিজেপি নেতারা। কেউ কেউ বাদশাকে ‘পাকিস্তানি এজেন্ট খেতাবও দিয়েছিলেন। বিজেপি নেতারা পাকিস্তানে গিয়ে থাকতে বলেছিলেন শাহরুখকে।
কিং খান বলিউডের প্রথম তারকা যিনি ভারতের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান। তারপরই অসহিষ্ণুতা নিয়ে বির্তকে জড়ালেন আমির খান। রীতিমতো তিনি বলে বসলেন, ভারত থেকে চলে যেতে চাইচ্ছেন। এ মন্তব্যের পর রাজনীতির ময়দান, বলিপাড়া সহ স্যোশাল মিডিয়া তোপের মুখে পড়েছেন ‘পিকে’ খ্যাত এ নায়ক।
বলিউডের অনেক তার পাশে দাঁড়ালেও এখন পর্যন্ত সালমান খান ও শাহরুখ আমির খানের মন্তব্যে কোনো কথা বলেননি।