একাদশ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির আসন ছিলো ২৩টি। আর সংরক্ষিত আসনে নারী সাংসদ ছিলো ৪জন। কিন্তু এবারের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মাত্র ১১ আসনে জয় পেয়েছে দলটি। যার সবকটিই আবার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ছাড় পাওয়া। এর বাইরে কোন আসনে জয় পায়নি দলটি। সব মিলিয়ে এই ফলাফল বলছে, রাজনৈতিকভাবে বেশ শক্তি হারিয়েছে দলটি।
বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক, কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার জয়ী হয়েছেন। তারা রংপুর, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও পটুয়াখালী থেকে নির্বাচন করেন।
এই চার জ্যেষ্ঠ নেতার বাইরে প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (ফেনী-৩), হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (ঠাকুরগাঁও-৩), গোলাম কিবরিয়া (বরিশাল-৩), এ কে এম সেলিম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৫), মো. আশরাফুজ্জামান (সাতক্ষীরা-২), এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (কুড়িগ্রাম-১) ও শরিফুল ইসলাম (বগুড়া-২) নির্বাচিত হয়েছেন।
রুহুল আমিন হাওলাদার ও আশরাফুজ্জামান ছাড়া বাকিরা বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদেরও সদস্য।
একাদশ সংসদের ২৩ জন সদস্যের মধ্যে ঢাকায় সৈয়দ আবু হোসেন, গাইবান্ধায় শামীম হায়দার পাটোয়ারি, ময়মনসিংহে ফখরুল ইমাম, সুনামগঞ্জে পীর ফজলুর রহমান, কুড়িগ্রামে পনির উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারীতে আহসান আদেলুর রহমান ও রানা মোহাম্মদ সোহেল, বগুড়ায় শরিফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জে লিয়াকত হোসেন, বরিশালে নাসরিন জাহান, বগুড়ায় নুরুল ইসলাম তালুকদারসহ ১৪ জন সংসদ সদস্য হতে পারেননি।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় এবার ঢাকায় একটি মাত্র আসন (ঢাকা-১৮) পায় জাপা। সেটি দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নৌকা প্রতীকে কোনো প্রার্থী না থাকলেও সেখানে ভোটের সংখ্যায় তৃতীয় হন তিনি।
বর্তমান সংসদ সদস্যদের মধ্যে জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও তার ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ এবার নির্বাচন করেননি।
২০১৪ সাল থেকে পরপর তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে আবার বিরোধীদলে আসনে বসে আসছিলো জাতীয় পার্টি। এরমধ্যে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে দলটির আসন ছিলো ৩৩টি, ২০১৮ সালে সেটি দাঁড়ায় ২৩টি। এবার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সেটি আরও কমে ১১টিতে দাঁড়ালো।