তুরস্কে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভুমিকম্পের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১৫,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্ধার তৎপরতার অকার্যকারিতাকে দায়ী করছে দেশটির সাধারণ নাগরিক। জনগণের ক্ষোভের মুখে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
তিনি বলেন, এত ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত থাকাটা অসম্ভব ছিল।
তবে সমালোচকদের দাবি, জরুরি পরিষেবাগুলির কার্যকারিতা খুব ধীর ছিল এবং সরকারের প্রস্তুতি খারাপ ছিল। এছাড়াও অভিযোগ আছে টুইটার বাবহারকারীদের তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্সেস বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
বুধবার বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প বিপর্যয় অঞ্চল পরিদর্শন করার সময় প্রেসিডেন্ট এরদোগান প্রতিটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার এবং রাষ্ট্র ও জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “আমরা কোনও নাগরিককে অযত্নে রাখব না।”
এর আগে রাষ্ট্রপতি সরকারের প্রতিক্রিয়া নিয়ে জনসাধারণের উদ্বেগের কথা স্বীকার করে বলেন, “প্রাথমিকভাবে বিমানবন্দর এবং রাস্তায় কিছু সমস্যা ছিল, কিন্তু পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রিত।”
তুরস্কের প্রধান বিরোধী দলের নেতা কামাল কিলিচদারোগ্লু এতে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, “এর জন্য যদি একজন দায়ী থাকে, তাহলে সেটা এরদোগান।”
প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার সরকারের ভূমিকম্প পরবর্তী তৎপরতা নিয়ে অপপ্রচার হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, “যেই মুহূর্তে ঐক্যের আহ্বান জানানো হয়েছে এমন মুহূর্তে আমি সাধারণ রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য নেতিবাচক প্রচারণা সহ্য করতে পারি না।”
তিনি বলেন, “নিঃসন্দেহে আমাদের কাজ সহজ ছিল না। আবহাওয়া পরিস্থিতির বৈরিতা এই ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট ধ্বংসের মাত্রা এবং ব্যাপকতাকে বাড়িয়ে দেয়া সত্ত্বেও, আমরা রাষ্ট্র ও জাতির সমস্ত সম্পদ একত্রিত করে দুর্যোগ এলাকায় উৎসর্গ করেছি।”
এদিকে দেশটির নেটওয়ার্ক মনিটরিং ফার্ম নেটব্লক বুধবার বলে, ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী স্তরে ট্র্যাফিক ফিল্টারিং প্রয়োগ করা হয়েছে যা টুইটার ব্যবহারকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। প্রতিবেদনটি ব্যবহারকারীর দাবির সাথে মিলে যায়।
এ ব্যাপারে তুর্কি পুলিশ জানায়, সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ভূমিকম্প সম্পর্কে উস্কানিমূলক ওয়েবসাইটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং এধরনের কাজে যুক্ত একাধিক ব্যক্তিকে আটক বা গ্রেপ্তার করেছে তারা।