এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টি-টুয়েন্টি সিরিজ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে টপঅর্ডার ব্যাটারদের নিয়মিত ব্যর্থতা ও স্ট্রাইকরেটে সমস্যা বারবার কেন হচ্ছে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন শুনতে হয়। সাবেক অধিনায়কের এক কথার উত্তর, ‘আমি বলতে পারবো না।’
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের শরীরী ভাষা ও কথার ভঙ্গিতে হতাশা স্পষ্টই ঝরছিল। বিশ্বকাপ অভিযানের আগে টি-টুয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ১০ ধাপ পিছিয়ে থাকা ও কমশক্তির যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধরাশায়ী হওয়া প্রসঙ্গে সাকিবের ভাষ্য, এই ফরম্যাটে ছোট দল বড় দল বলে কিছুই নেই।
‘টি-টুয়েন্টিতে সব দলই সমান। আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ-দল ও নেপালের খেলা দেখেছি। তারা ভালো খেলেছে। আয়ারল্যান্ড-স্কটল্যান্ড ভালো খেলছে। আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে গেছে পাকিস্তান।’
‘টি-টুয়েন্টিতে খেলা যেকারোর হতে পারে। নির্দিষ্ট দিনে যে ভালো করবে, সে জিতবে। এখানে কোনকিছু হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। এক-দুই ওভারেই খেলা ঘুরে যায় এখানে। সবসময় এখানে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে আপনাকে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো খেলতে না পারার কথা অকপটেই স্বীকার করে নিচ্ছেন সাকিব। অবশ্য উপায়ও নেই। এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের কারণ নির্বিকার চিত্তে বললেন, ‘আমি জানি না। আমি জানলে দলকে বলতাম।’
বোলাররা খানিকটা নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করলেও ব্যাটাররা নিজেদের হারিয়ে খুঁজছেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাওহীদ হৃদয় ছাড়া বাকিরা রান পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। উদ্বোধনী জুটি দীর্ঘকাল গলার কাঁটা হয়ে বিঁধেছে।
সাকিব অবশ্য দোষারোপের পথে না হেঁটে বললেন, ‘দলগত খেলা এটা। সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে এখানে। কাউকে দোষ দিতে চাই না। টি-টুয়েন্টিতে আসলে সবকিছুতে ভালো করতে হবে সব দলের সাথে। এখানে ছোট দল বড় দল নেই। গত দুই ম্যাচ এটাই প্রমাণ হয়েছে ইউএসএ’র পারফরম্যান্সে।’
যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে বাংলাদেশ দল। পারফর্ম করতে না পারার পাশাপাশি পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুবিধা না পাওয়াকেও সাকিব দুষলেন।
‘আসলে এটা যদি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ধরে থাকি, তাহলে আমাদের ব্যাটিং-বোলিংয়ের আরও বেশি সেশন হওয়া দরকার ছিল। সুবিধা আরও বেশি থাকা দরকার ছিল। এগুলার কিছুই আমরা পাইনি। একদিন পর্যাপ্ত নেট সেশন হয়েছে, যেখানে ব্যাটাররা পুরোপুরি সুযোগ পায়নি। এখানে দুই দিকেরই ব্যর্থতা আছে।’
ডি-গ্রুপে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। প্রতিটি ম্যাচকেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার কঠিন বিবেচনা করছেন।
‘বিশ্বকাপে কোনো সহজ ম্যাচ নেই। বিশ্বকাপে চাপ থাকবে, নার্ভ ধরে রাখতে হবে। বিশেষ করে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সব ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। কাউকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।’