চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই দিয়েছিল মাশরাফীর সিলেট স্ট্রাইকার্স। বল হাতেও শুরুতে দুর্দান্ত ছিল সিলেট। বেশ চাপেই রেখেছিল সাগরিকার দলটিকে। তবে শাহাদাত হোসেন দীপু ও নাজিবুল্লাহ জাদরানের উড়ন্ত ফিফটিতে সিলেটকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিপিএল দশম আসর শুরু করেছে গত আসরে টেবিলের তলানিতে থাকা চট্টগ্রাম।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে সিলেটকে ব্যাটে পাঠান চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম। আগে ব্যাটে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৭৭ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট। জবাবে নেমে ৯ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম।
সিলেটের দেয়া চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতে চাপে পড়েছিল চট্টগ্রাম। সিলেটের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৭.১ ওভারে ৫৯ রানে টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। এরপর হাল ধরেন দীপু ও জাদরান। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে ৭৭ বলে ১২১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তারা। চারটি করে চার ও ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৭ রান করেন দীপু। তিনটি চার ও পাঁচ ছক্কায় ৩০ বলে ৬১ রান করেন জাদরান।
সিলেটের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন রিচার্ড এনগারাভা, মাশরাফী মোর্ত্তজা ও নাজমুল ইসলাম অপু।
এরআগে ব্যাটে নেমে সিলেটকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৭ রান তোলেন তারা। শান্ত ৩০ বলে ৭টি চারে ৩৬ রান করে ফিরলে জুটি ভাঙে।
দলীয় ৯৫ রানে ফিরে যান মিঠুন। ৪টি চার ও দুটি ছক্কায় ২৮ বলে ৪০ রান করেন এই ওপেনার। এরপর নিংসের বাকি সময়টা রাঙিয়েছেন জাকির হাসান। আয়ারল্যান্ডের হ্যারি ট্যাক্টারকে নিয়ে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪৯ বলে ৮২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। সিলেটের ইনিংস থামে ২ উইকেটে ১৭৭ রানে। ৪৩ বলে ৭টি চার ও এক ছক্কায় ৭০ রান করেন জাকির। আর ২০ বলে ২৬ রান করেন ট্যাক্টর।
চট্টগ্রামের হয়ে একটি করে উইকেট নেন কার্টিস ক্যাম্পের ও নিহাদুজ্জামান।