‘ফারুক ভাই আমাকে সবসময় আগলে রাখতেন। সবসময় আমাকে বলতেন চলচ্চিত্রের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। আরও অনেক কথা বলে স্নেহ করতেন। অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় আমার সিনেমার পোস্টার বা কিছু রিলিজ হলে উনি খুবই অ্যাপ্রিসিয়েট করে আমাকে উৎসাহ দিতেন।’
সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা, অভিনেতা ও ঢাকা ১৭ আসনের এমপি আকবর পাঠান ফারুককে নিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলেন সুপারস্টার শাকিব খান।
মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের চ্যানেল আই কার্যালয়ে ফারুকের তৃতীয় নামাজে জানাজায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন ঢাকাই সিনেমার এই সুপারস্টার।
ফারুককে নিয়ে চ্যানেল আইয়ের শোক বইয়ে নিজের অনুভূতির কথা ব্যক্ত করে শাকিব খান বলেন, কদিন পর পর যখন ফারুক ভাইয়ের খবর নিতাম, শুনতাম তিনি ভালো হয়ে গেছেন, সুস্থ হয়ে গেছেন। আমিও ভাবতাম কদিন পরেই বুঝি চলে আসবেন।
তিনি আরও বলেন, ফারুক ভাই সংসদ সদস্য হওয়ার পরে আমি তাকে বলতাম আমার ভাবতেও ভাল লাগে যে আমি এলাকায় থাকি সে এলাকার এমপি হলেন আমার বড় ভাই। ফারুক ভাইয়ের চলে যাওয়ায় চলচ্চিত্রের মানুষ বিশাল একজন গার্জিয়ানকে হারালো। তিনি সবসময় চলচ্চিত্রের মানুষদের বলতেন এরা আমার প্রাণের মানুষ আমার ভালোবাসার পৃথিবীর মানুষ।
‘প্রিয়তমা’ ছবির শুটিং করছিলেন শাকিব খান। চ্যানেল আইয়ে নামাজে জানাজা হবে শুনেই তিনি শুটিং রেখে ছুটে আসেন। বলেন, অনেকদিন ধরেই ফারুক ভাই অসুস্থতায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। তার পরিবারও সাফার করছিল। ভাবি বাচ্চারাও কষ্ট পাচ্ছিল। ফারুক ভাই কষ্ট পাচ্ছিলেন। আল্লাহ তাকে নিয়ে গেছেন। এখন আল্লাহতায়ালা তাঁকে শান্তিতে রাখুন। আল্লাপাক তাঁকে বেহেশতে নসিব করুন।
এরআগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফারুকের মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানেই মিয়া ভাই খ্যাত এই নায়ককে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সেই অনুষ্ঠানে প্রথমেই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও স্পিকারের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংসদ সদস্য ফারুককে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এই আনুষ্ঠানিকতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে শহীদ মিনার থেকে এফডিসির উদ্দেশে রওনা হয় চিত্রনায়ক ফারুককে বহনকারী লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি। এফডিসিতে হয় দ্বিতীয় জানাজা। সেখান থেকে পৌনে ৩টায় চ্যানেল আইয়ে নেওয়া হয় ফারুককে।