‘সংকটের একমাত্র সমাধান রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে মর্যাদপূর্ণ স্থায়ী প্রত্যাবাসনের মধ্যে নিহিত’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, রোহিঙ্গাদের স্থানীয় অন্তর্ভুক্তির কোনরূপ সুযোগ নেই।
রোববার ১১ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দান সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
বৈঠকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, ওমান, প্যালেস্টাইন, ইরান, তুরস্ক, ইরাক, চীনের রাষ্ট্রদূতসহ জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক, ইউএনএইচসিআর ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব জনাব মাসুদ বিন মোমেন, জননিরাপত্তা সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব উপস্থিত ছিলেন।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
জিসিসি প্লাস ফোরামের এই সভায় বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের খাদ্যসহ বিভিন্ন সহয়তা প্রদানের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিজ দেশ মায়ানমারে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহায়তা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়।
‘সংকটের একমাত্র সমাধান রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মায়ানমারে মর্যাদপূর্ণ স্থায়ী প্রত্যাবাসনের মধ্যে নিহিত’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করেন। রোহিঙ্গাদের স্থানীয় অন্তর্ভুক্তির কোনরূপ সুযোগ নেই জানিয়ে মুখ্য সচিব তাদের জন্য ভাষানচরে সম্প্রসারিত সাময়িক শেল্টার তৈরীতে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রদূতদের সহযোগিতা কামনা করেন।
বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক ও খাদ্য সহায়তায় বিশ্ব খাদ্য সংস্থাসহ সাহায্যকারী সংগঠনগুলোর মাথাপিছু বরাদ্দ কমের বিষয়টি তুলে ধরে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক ও ডব্লিউএফপি’র প্রতিনিধি সকলকে সহায়তার আহ্বান জানান।
বৈঠকে সৌদি আরব, ইরান, প্যালেস্টাইন, তুরস্ক, কাতার, কুয়েত ও চীনের রাষ্ট্রদূতগণ নিজ নিজ দেশের অবস্থান তুলে ধরেন এবং রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের যেকোন উদ্যোগ পাশে থেকে সমর্থন ও সহায়তা প্রদানের অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে ছিলেন- সৌদি আরবের এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবদুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ খাসেফ আল হামুদি, কাতারের সেরায়া আলী আল-কাহতানি, কুয়েতের আলী আহমেদ ইব্রাহিম আল-ধুফাইরি, ওমানের আব্দুল গাফফার আলবুলুশি, ফিলিস্তিনের ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের মনসুর চাভোশি, তুর্কিয়ে রামিস সেন প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন ইয়াও ওয়েনের দূতাবাস, ইরাক প্রজাতন্ত্রের সিডিএ মোহানাদ এ আর খালাফ আল-দাররাজি, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস, ইউএনআরসি বাংলাদেশ, ইউএনএইচসিআর এর বাংলাদেশে প্রতিনিধিত্ব জোহানেস ভ্যান ডের ক্লাউ, ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশী প্রতিনিধি, ডব্লিউএফপি বাংলাদেশ ডম স্কালপেলি, ডব্লিউএফপি বাংলাদেশী প্রতিনিধি।