রিয়াল মাদ্রিদ কখনো মরে না- কার্লো আনচেলত্তির কথাটিকে যেন স্প্যানিশ জায়ান্টরা আবারো সত্য হিসেবে প্রমাণ করে ছাড়ল। পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে যেতে থাকা দলটির ত্রাণকর্তা হয়ে উঠলেন জোসেলু রোমেলু। ৩৪ বর্ষী ফরোয়ার্ডের শেষ মুহূর্তের জোড়া লক্ষ্যভেদে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ২-১ গোলের রোমাঞ্চকর জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল।
সেমিফাইনালের প্রথম লেগে দুদল ২-২ গোলের ড্রয়ে শেষ করেছিল। ফিরতি দেখার পর দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে লস ব্লাঙ্কোসরা শিরোপা নির্ধারণী খেলায় নামার অপেক্ষায় রইল। ১ জুন লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৫৭ শতাংশের অধিক সময় স্বাগতিকরা বল নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। প্রতিপক্ষের ৭ শটের বিপরীতে নিজেরা নিয়েছিল ১৯ শট।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৬৮ মিনিটে রিয়াল সমর্থকদের হতভম্ব করে লিড পায় বায়ার্ন। পাল্টা আক্রমণ থেকে হ্যারি কেনের বাড়ানো বল নিয়ে বাঁ-পায়ে নিশানাভেদ করেন কানাডিয়ান ফুটবলার আলফানসো ডেভিস।
মিনিট তিনেক পর ডেভিসের পায়ে লেগে বল বাভারিয়ানদের জালে জড়ালে সমতায় ফিরতে বসেছিল রিয়াল। তবে এসময় জশুয়া কিমিচ ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে রেফারি গোল বাতিল করেন।
ম্যাচের তখন ৮১ মিনিট। ফেদেরিকো ভালভার্দের পরিবর্তে জোসেলুকে নামান মাস্টারমাইন্ড আনচেলত্তি। সাত মিনিট পরই হতাশার চাদর ফেলে জ্বলে ওঠে কামব্যাকের রাজা রিয়াল। বাঁ-পায়ের শটে এ স্পেনিয়ার্ড বল জালে জড়িয়ে সমতা টানেন। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে রুডিগারের ক্রসে বল নিয়ে জোসেলু জোড়া গোলের দেখা পেলে আবারো দুরন্ত প্রত্যাবর্তনের নজির গড়ে রিয়াল ফাইনালের টিকিট কাটে।