এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই শেষে মারা গেলেন ইংল্যান্ডের সাবেক ওপেনিং ব্যাটার হিউ মরিস। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে মরিসের পাকস্থলিতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। সে বছরের শেষদিকে কাজে ফিরে এলেও, চিকিৎসা চলাকালীন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য তিনি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্ল্যামরগানের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
ওপেনিং ব্যাটার হিসেবে গ্ল্যামরগানের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ সালে তার নেতৃত্বে কাউন্টি সানডে লিগের শিরোপা জেতে। তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এবং সাউথ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা সফরে ইংল্যান্ড ‘এ’ দলের অধিনায়কত্বও করেছেন।
অবসরের পর ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের বিভিন্ন শীর্ষ পদে মোট ১৬ বছর কাজ করেন। প্রধান নির্বাহী হিসেবে তার সময়কালে ইংল্যান্ড পুরুষ টেস্ট দল অভূতপূর্ব সাফল্য পায় এবং টানা তিনটি অ্যাশেজ সিরিজ জয় করে।
পরে মরিস ওয়েলসে ফিরে গ্ল্যামরগানের প্রধান নির্বাহী হয়ে নয় বছর কাটান। এই সময়ে তিনি ক্লাবের ঋণ কমাতে সহায়তা করেন এবং নিশ্চিত করেন যে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে দ্য হান্ড্রেড প্রতিযোগিতার ফ্র্যাঞ্চাইজি ওয়েলশ ফায়ারের ঘর হবে।
ক্লাবের ওয়েবসাইটে মরিসকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বর্তমান প্রধান নির্বাহী ড্যান চেরি বলেছেন, ‘গ্ল্যামরগান কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের সবাই এবং এর বাইরেও আমরা হিউ সম্পর্কে এই ভয়াবহ খবর শুনে গভীরভাবে মর্মাহত। গত কয়েক বছর তার ও তার পরিবারের জন্য অত্যন্ত কঠিন ছিল, তবে ২০২৫ মৌসুমে সোফিয়া গার্ডেন্সে আমরা কয়েকবার হিউকে দেখে আনন্দিত হয়েছিলাম।’
‘গ্ল্যামরগান ক্রিকেটের ইতিহাসে এবং সমর্থকদের হৃদয়ে হিউ একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন, মাঠে ও মাঠের বাইরে তার অবদানের জন্য। তিনি ছিলেন অসীম উদ্যমের মানুষ এবং এক সত্যিকারের ভদ্রলোক। তার কৃতিত্বগুলো ক্লাবের রেকর্ড বইয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবে।’
‘এই শোকাবহ সময়ে আমাদের ভাবনা ও প্রার্থনা রইল তার স্ত্রী ডেবি, তাদের যমজ কন্যা বেথান ও এমিলি, এবং ক্রীড়াজগতজুড়ে থাকা হিউর অসংখ্য বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীদের সঙ্গে।’








