স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ব্যাংকিং দিতে চাই: রশিদ আহমেদ চৌধুরী

ড. ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমেদ চৌধুরী। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান। চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণকারী এবং বেড়ে ওঠা অত্যন্ত মেধাবী, জ্ঞানী, গুণী, উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী মানুষটি শিক্ষাজীবনে অসাধারণ মেধা ও কৃতিত্বের প্রমাণ দিয়েছেন। দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করে দেশের সেবার মনোভাব নিয়ে আবার ফিরে এসেছেন মাতৃভূমিতে। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য যে ধরনের স্মার্ট ব্যাংকিং প্রয়োজন আগামীতে দেশবাসীকে তা দিতে চান তিনি। 

একজন অভিজ্ঞ প্রকৌশলী হিসেবে তার খ্যাতি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আছে। একজন গুণী শিক্ষক হিসেবেও তিনি নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছেন। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে ২০১৭ সালে চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের পর গত ৬-৭ বছরে এই ব্যাংকটিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। দেশের একটি অন্যতম প্রধান বেসরকারী ব্যাংক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এই ব্যাংকটি। তাঁরই সুযোগ্য নেতৃত্বে বিজ্ঞ পরিচালনায় যা সম্ভব হয়েছে। আমরা তার মুখোমুখি হয়েছিলাম সম্প্রতি।

দীর্ঘ আলাপচারিতায় তার ব্যাংকিং কার্যক্রম, ব্যাংকটিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াসহ ব্যক্তিজীবন, কর্মজীবন, নিজস্ব চিন্তাভাবনা, দেশ ও জাতির বিভিন্ন দিক ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেছি। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতার চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরা হলো।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতে একটি পুরনো প্রতিষ্ঠিত বেসরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আজকের পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে আপনার কাছ থেকে এই ব্যাংকের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে চাই।
রশিদ আহমেদ চৌধুরী: আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে। আপনারা আমাদের ব্যাংক সম্পর্কে জানতে কৌতূহলী হয়েছেন। আমাদের দপ্তরে এসেছেন। এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই ব্যাংক সম্পর্কে বলার আগে আমি সর্বপ্রথম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি জাতির জন্য আত্মত্যাগ করেছেন। নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। সেই সঙ্গে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের প্রতি, যারা ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতার সঙ্গে শহীদ হয়েছেন।

প্রশ্ন: ধন্যবাদ আপনাকে। এবার আপনার কাছে জানতে চাই আপনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের এগিয়ে যাওয়ার কথা।
রশিদ আহমেদ চৌধুরী: বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড দেশের অন্যতম একটি পুরনো বেসরকারী ব্যাংক। যা ১৯৮৬ সালে ২৭ জানুয়ারি তারিখে বাংলাদেশ কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তখন ওটা ছিল নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। নানা চড়াই উৎরাই পথ পাড়ি দিয়ে যা ১৯৯৮ সালের ১ জুন তারিখে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড হিসেবে নতুন নাম ধারণ করে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে এই ব্যাংকটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর অর্থনীতি যে পর্যায়ে ছিল এখন তা আর সে পর্যায়ে নেই। বাংলাদেশের অর্থনীতির নানা সম্প্রসারণ ঘটেছে। সমৃদ্ধি ঘটেছে বিভিন্নভাবে। আমাদের অর্থনীতির ব্যাপক বিস্তৃতি উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং এগিয়ে চলার প্রমাণ দেয় বিভিন্ন সূচকে। বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গে এখানকার ব্যাংক ব্যবস্থাও অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের সম্মানিত চেয়ারম্যান হিসেবে আপনার ব্যাংকের অবদান ও অবস্থান সম্পর্কে বলুন।
রশিদ আহমেদ চৌধুরী: দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, শিল্প উন্নয়ন, আমদানি-রপ্তানি ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে আমাদের ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের ব্যাংক পরিচালিত হচ্ছে সরকারী ও বেসরকারী যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে। আমাদের বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ৫১ শতাংশ মালিকানা সরকারের। অবশিষ্ট ৪৯ শতাংশ মালিকানা বিভিন্ন বেসরকারী উদ্যোক্তার। আমাদের সকল ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য হলো দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে, শিল্প উন্নয়নে, আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বিভিন্নভাবে বিনিয়োগের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। আমরা এক্ষেত্রে যথাসাধ্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের অবদান অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তুলনায় কোনোভাবেই কম নয়। সরকারের যাবতীয় উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমরা সহায়ক হিসেবে কাজ করছি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আমাদের বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার সন্দেহ নেই।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড এর সম্মানিত চেয়ারম্যান হিসেবে আপনি সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে ব্যাংকটি পরিচালিত হচ্ছে। এই ব্যাংকের শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে আপনার সম্পৃক্ততা সম্পর্কে বলুন।
রশিদ আহমেদ চৌধুরী: আমি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে। ইতিমধ্যে প্রায় ৬ বছর সময় পেরিয়ে গেছে। আমি এই প্রতিষ্ঠানের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় অনেক অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে এগিয়ে নেওয়ার কাজটি করেছি। এ ক্ষেত্রে আমার আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, পরিশ্রম এবং দায়িত্ববোধ বিন্দুমাত্র ঘাটতি নেই।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে আপনাদের ব্যাংকটির অবস্থান বর্তমানে কেমন?
রশিদ আহমেদ চৌধুরী: বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালে। তখন অবশ্য এর নাম অন্য ছিল। দীর্ঘ ৩৭ বছরের পথ পরিক্রমায় ব্যাংকটি যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা উল্লেখযোগ্য বলা যায়। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমরা নানাভাবে অবদান রাখছি। দেশের বেকারত্ব নিরসনে, নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে, কৃষিখাতের উন্নয়নে, গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে আমাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট রয়েছে। যেমন, এখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার পর অনেক ছেলে-মেয়ে চাকরি-বাকরি পাচ্ছেনা। সে ক্ষেত্রে তাদেরকে বেকার বসে না থেকে উদ্যোক্তা হয়ে নিজের ভাগ্য ফেরাতে আমরা সহায়তা করছি বিশেষ একটি ঋণদান কর্মসূচির মাধ্যমে। একইভাবে আমরা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় নতুন জমি কেনার জন্য, ফ্ল্যাট কিংবা গৃহ নির্মাণের জন্য ঋণ দিচ্ছি। এ ছাড়াও সন্তানের পড়াশোনার খরচ নির্বাহের জন্য, তাদের বিয়ে-শাদীর জন্যও সঞ্চয় এবং প্রয়োজনে সেখান থেকে ঋণ গ্রহণের জন্য কয়েকটি প্রোডাক্ট রয়েছে। যেগুলো দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে এর মধ্যেই ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।

প্রশ্ন: সারা দেশে আপনাদের শাখা নেটওয়ার্ক সম্পর্কে বলুন
রশিদ আহমেদ চৌধুরী: সারা দেশে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের শাখা-উপশাখা মিলিয়ে সর্বমোট শাখার সংখ্যা ১০৬টি। শহর-বন্দর ছাড়িয়ে মফস্বল শহরেও আমাদের শাখা নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি। সমাজের বিশেষ শ্রেণীকে সেবা দেওয়ার মধ্যে আমাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ নেই। দেশের আপামর জনসাধারণের সার্বিক কল্যাণ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য আমাদের সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আগামীতে আমাদের আরও শাখা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য কাজ চলছে এখন। ইনশাআল্লাহ, অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশব্যাপী আমাদের বেশ কিছু নতুন শাখা-উপশাখা ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করবে।

প্রশ্ন: আপনাদের প্রোডাক্ট লাইন সম্পর্কে বলুন।
রশিদ আহমেদ চৌধুরী: আমাদের ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট রয়েছে। যা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি লাভ করেছে। আমাদের বেশ কিছু নতুন ব্যতিক্রমী প্রোডাক্ট রয়েছে। যেমন, সন্তানদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে, তাদের বিয়ে শাদী দেওয়ার ব্যয় নির্বাহের জন্য বিশেষ সঞ্চয় স্কীম ও তার বিপরীতে প্রয়োজনীয় ঋণ গ্রহণের সুবিধা। বাড়ি-ঘর নির্মাণ, ফ্লাট ক্রয় ও নির্মাণের জন্য আমাদের ঋণ প্রদানের জন্য আলাদা প্রোডাক্ট রয়েছে। গাড়ি ক্রয়ের জন্যও রয়েছে ঋণের সুবিধাসম্পন্ন প্রোডাক্ট। তাছাড়া এনজিওর জন্য আলাদা ঋণের প্রোডাক্ট চালু করা হয়েছে। কৃষিখাতেও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা ঋণ দিচ্ছি।

প্রশ্ন: আপনাদের ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু হয়েছে কী?
রশিদ আহমেদ চৌধুরী: নাহ, আমাদের ব্যাংক এখনও এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেনি।

প্রশ্ন: দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জানতে পারলাম আপনার কাছে। আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে আপনাদের অবদান ও অংশগ্রহণ সম্পর্কে বলুন।
রশিদ আহমেদ চৌধুরী: আগেই বলেছি আমাদের ব্যাংক দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য ভূমিকা রাখছে। আমাদের বেশ কিছু এসএমই প্রোডাক্ট রয়েছে। যেগুলো শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামীণ জনপদে বেশি কাজে লাগছে। আমরা এসএমই খাতে জামানত বিহীন ৪ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়ে থাকি আগ্রহীদের।
কৃষি ক্ষেত্রেও আমরা ঋণদান কার্যক্রম চালু করেছি। তাছাড়া গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করা বিভিন্ন এনজিওর জন্য আমরা বেশ কিছু ঋণদান প্রকল্প চালু রেখেছি। যেখান থেকে ঋণ নিয়ে তারা গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

প্রশ্ন: বর্তমান সময়ে ব্রাঞ্চ ব্যাংকিং লেনদেন অনেকটাই পুরনো হয়ে গেছে। আজকাল সবাই অনলাইন লেনদেনে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। যেখান থেকে, যখন খুশি লেনদেনে আগ্রহী বেশিরভাগ মানুষ আপনাদের ব্যাংক এক্ষেত্রে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে গ্রাহকদের?
রশিদ আহমেদ চৌধুরী: আমরা যখন ২৭/২৮ বছর আগে কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। সেই সময় থেকে প্রেক্ষাপট এখন অনেক ভিন্ন। নতুন সময়ের উপযোগী আধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানে আমরা সার্বিকভাবে সক্ষম ও সফল। আমরাও অনলাইন ব্যাংকিংকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদেরও ডেবিট কাডর্, ক্রেডিট কার্ড কার্যক্রম রয়েছে। যার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে যে কোনো স্থানের এটিএম বুথ থেকে তো বটেই, এমনকি বিদেশেও এই কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহক তার লেনদেন কাজ সারতে পারেন।

প্রশ্ন: এখন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাংকিং সেক্টরে নবজাগরণ ঘটেছে। বর্তমান সরকার এবং সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ ব্যাপারে বেশ সজাগ। সেক্ষেত্রে আপনাদের পথ চলায় কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা কিংবা সীমাবদ্ধতা রয়েছে কী?
রশিদ আহমেদ চৌধুরী: আমরা আমাদের সব ধরনের সক্ষমতা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছি প্রাত্যহিক ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডে। তবে আমাদের ব্যাংকটি সরকারী বিশেষ আদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু কিছু আইনগত বিধান কিছুটা বাঁধার সৃষ্টি করছে। আমরা এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আমরা বলেছি, বিদ্যমান আইনগত বাধাগুলো দূর হলে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক আরো দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে। আমাদের ব্যাংকের মাত্র দুটি শাখাকে ইসলামী শরিয়া ব্যাংকিং কার্যৃক্রম পরিচালনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে ইসলামী শরীয়া ব্যাংকিং এ আগ্রহী গ্রাহকের চাহিদা বাড়ছে। এ প্রেক্ষিতে আমাদের আরো অধিক সংখ্যক শাখাকে অনুমোদন দিলে আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। এ বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী অনুমোদন দানকারী কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। হয়তো আগামীতে আমাদের ব্যাংকে ইসলামী ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানের পরিধি ও সক্ষমতা বাড়বে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আপনাদের ব্যাংক আরও বড় ধরনের অবদান রাখুক। আরো সামনে এগিয়ে যাক। আমরা প্রত্যাশা করি। আপনাদের ব্যাংকের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে বলুন।
রশিদ আহমেদ চৌধুরী: আমরা বর্তমানে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট ব্যাংকিং। আগামী দিনে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী নির্বিঘ্নে স্বল্প সময়ে সকল অফিসিয়াল ফর্মালিটিজ সম্পন্ন দ্রুত ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে গ্রাহক নির্ঝঞ্চাটে তার ব্যাংকিং সারতে পারবেন। যাকে আমরা স্মার্ট ব্যাংকিং হিসেবে অভিহিত করতে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য যে ধরনের স্মার্ট ব্যাংকিং প্রয়োজন আমরা আগামীতে তা দিতে চাই।

– আপনি আমাদের অনেক মূল্যবান সময় দিয়েছেন এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। আপনাকে এই মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
– আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

বিজ্ঞাপন

স্মার্ট বাংলাদেশ