প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ নির্বাচন চায়, ভোট দিতে চায়। আমরা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছ। মানুষ মেরে নির্বাচন বানচাল করা যায় না। আগের নির্বাচনগুলো দেখেও কি তারা কিছু শেখে না?
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর উদ্দেশ্যে সিলেটে অবস্থান করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার শরীফ জিয়ারত শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী এসব বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভোট জনগণের অধিকার, ভোট দিতে তাদের বাধা দেয়া এটা কোনভাবেই জনগণ মানবে না। হামলাগুলো যারা করছে তাদের কোন ক্ষমা নাই। মানুষ তাদের হরতাল, অবরোধেও সাড়া দিচ্ছে না। উল্টো সবাই নির্বাচনী আমেজে মেতে উঠেছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের বিজি ৬০১ ফ্লাইটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এ সময় তাকে অভ্যর্থনা জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি।
বিকালে সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠের জনসভায় ভাষণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
হয়রত শাহজালাল (র.) মাজার শরীফ জিয়ারত শেষে বিকাল ৩ টায় সভাস্থলে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘোষিত হবে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকালে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকাল ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে ভার্চ্যুয়ালি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া ২৯ ডিসেম্বর বরিশাল সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন বিকাল ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
পরদিন ৩০ ডিসেম্বর নিজ জেলা গোপালগঞ্জ, তারপর মাদারীপুরে যাবেন তিনি। ওই দিন প্রথমে গোপালগঞ্জ-৩ নির্বাচনী এলাকায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন। তারপর মাদারীপুর-৩ আসনের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।