ভারতের চাল রপ্তানির বিধিনিষেধের অপসারণ চায় আইএমএফ

দেশের অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং নিজেদের বাজারে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। দেশটি বিশ্ববাজারে অন্যতম চাল সরবরাহকারী দেশ হওয়ার কারণে তাদের এই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে বিশ্বের মুদ্রাস্ফীতির ওপর। তাই আইএমএফ এই নিষেধাজ্ঞার অপসারণ চাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এর বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলেছে, আইএমএফ একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর চাল রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ অপসারণ করতে ভারতকে উৎসাহিত করছে। বিশ্ববাজারে মুদ্রাস্ফীতির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা বেশ প্রভাব ফেলছে। বর্তমান পরিবেশে, এই ধরণের বিধিনিষেধ বিশ্বের বাকি অংশে খাদ্যের দামের অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

গত ২০ জুলাই অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং আসন্ন উৎসবের মৌসুমে খুচরা দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নন-বাসমতি সাদা চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত। দেশটির রপ্তানিকৃত মোট চালের প্রায় ২৫ শতাংশই এই জাতের চাল। ভারতের খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সিদ্ধ নন-বাসমতি চাল এবং বাসমতি চালের রপ্তানি নীতিতে কোনো পরিবর্তন হবে না।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারত থেকে মোট নন-বাসমতি সাদা চালের রপ্তানি আয় ছিল ৪ দশমক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা এর আগের অর্বথছরে ২ দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। ভারতের নন-বাসমতি সাদা চালের প্রধান আমদানিকারক দেশের মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, ইটালি, স্পেন এবং শ্রীলঙ্কা।

বিজ্ঞাপন

আইএমএফআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল