তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুগোপযোগী চলচ্চিত্র নীতিমালা প্রণয়নে সময়ে সময়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।
তিনি আজ সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য মো. মসিউর রহমান রাঙ্গার টেবিলে উপস্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে চলচ্চিত্রের অশ্লীলতা বন্ধ করার জন্য আন্তরিক ও নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যৌথ প্রযোজনা ও অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য যথাযথভাবে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। প্রিভিউ কমিটিতে এইসব বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হয়। সকল চলচ্চিত্র মুক্তির আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড-এর ছাড়পত্র গ্রহণ বাধ্যতামূলক। সমাজের নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টি করতে পারে এমন দৃশ্য কর্তন/সংশোধনসহ সেন্সর নীতিমালা অনুসরণপূর্বক কমিটি কর্তৃক ছাড়পত্র প্রদান করা হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার চলচ্চিত্রবান্ধব। এই সরকারের আমলে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা-২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন নীতিমালা যেমন চলচ্চিত্র সরকারি অনুদান নীতিমালা, যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ নীতিমালা, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
নীতিমালার মাধ্যমে চলচ্চিত্রের মান যথাযথ আছে কিনা, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা সাপেক্ষে অনুদান প্রদান, যৌথ প্রযোজনার ছাড়পত্র প্রদান, চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন