অস্ট্রেলিয়ায় খ্যাতির শীর্ষে প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসকরা

অস্ট্রেলিয়ায় খ্যাতির শীর্ষে রয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসকরা। দেশটিতে বেশ সুনামের সঙ্গেই চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন তারা। এর মধ্যে অন্যতম চিকিৎসক দম্পতি হলেন ডাঃ জাকির পারভেজ এবং ডাঃ রেবেকা পারভেজ। 

বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস পাস করে স্কিল ভিসায় ১৯৯৮ সালে পাড়ি জমিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডে। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ায় এসে ২০০২ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন তারা। তাসমানিয়ায় ৩ বছর চিকিৎসা পেশায় কাটিয়ে ২০০৫ সালে নিউ সাউথ ওয়েলশের রাজধানী সিডনিতে এসে পর্যায়ক্রমে পৌছে গেছেন খ্যাতির শীর্ষে ।

২০১৩ সালের মধ্যে দুজনেই স্পেশালিস্ট জেনারেল প্র্যাকটিসনার-এ উন্নীত হয়েছেন। বেশ কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দু’জনেই পৌছে গেছেন চিকিৎসা পেশায় অভীষ্ঠ লক্ষ্যে। বাংলাদেশের প্রথম নারী চিকিৎসক হিসেবে রেবেকা পারভেজ সিডনিতে হয়েছেন অ্যাক্রিডিটেশন সার্ভেয়ার।

হাজার হাজার রোগীর আস্থা অর্জনের জন্য সিডনিতে সুপরিচিত ডাঃ রেবেকা মেডিকো লিগ্যাল আইন, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক কল্যাণের মতো বিভিন্ন উপ-কমিটিতে বাংলাদেশ মেডিকেল সোসাইটি নিউ সাউথ ওয়েলসকে সহযোগিতা করছেন।তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় যেসব চিকিৎসক নতুন আসছেন, তাদেরকে সহায়তা দিচ্ছেন তিনি। এএমসি এবং ফেলোশিপ পরীক্ষার প্রার্থীদের প্রিপারেশন এর জন্য স্বেচ্ছাসেবক ভূমিকা পালনকারী পরীক্ষক হিসেবে বিএমএস শিক্ষা উপকমিটিকে সহায়তা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তিনি রয়েল অস্ট্রেলিয়ান কলেজ অব জেনারেল প্র্যাকটিসনার স্পেশালিস্ট পরীক্ষার পরীক্ষক।

তার স্বামী ডাঃ জাকির পারভেজ সিডনিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল সোসাইটি। মূলত চিকিৎসাশাস্ত্রে আন্তর্জাতিক গ্র্যাজুয়েটদের ট্রেনিং দেয়ার দায়িত্বটা তার ওপর। দ্য রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান কলেজ অফ জেনারেল প্র্যাকটিশনার্স এর জিপি রেজিস্ট্রারদের জন্য প্রথম বাংলাদেশি এক্সটারনাল ক্লিনিক্যাল টিচিং ভিজিটর তিনি। সিডনির ডার্লিং হার্স্ট-এ স্কুল অফ মেডিসিন দ্য ইউনিভার্সিটি অফ নটরডেম অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যাপনাও করছেন তিনি।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের আত্মীয়স্বজন অস্ট্রেলিয়ার সিডনি সফরে এলে তাদের ইন্স্যুরেন্স কার্ড এবং চিকিৎসা সেবার সহযোগিতা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন এই চিকিৎসক দম্পতি। তার বিনিময়ে এক কানাকড়িও নেন না তারা। অস্ট্রেলিয়ায় করোনা ভাইরাস যখন মহামারি আকার ধারণ করেছে, তখন তাদের স্বেচ্ছাশ্রম ছিল বলার মতো। দুই পুত্র সন্তান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাস জীবন ভালই কাটছে তাদের।

বিজ্ঞাপন

অস্ট্রেলিয়াচিকিৎসকপ্রবাসী