আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের সন্তান, পরিবারের সদস্য, নিকটাত্মীয় ও নিজস্ব লোক উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি তারা কারো পক্ষে কাজও করতে পারবেন না।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আওয়ামী লীগের দপ্তর শাখা এই তথ্য বাসসকে নিশ্চিত করেছে।
ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপরও কেউ ভোট থেকে সরে না দাঁড়ালে বহিষ্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর শাখা বাসসকে জানায়, দলের প্রধানের নির্দেশনা পেয়ে ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনানুষ্ঠানিক এক বৈঠক করেন। বৈঠকে এ ধরনের সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত হয় এবং পরে তা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপ-দপ্তর সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদেরকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।
বৈঠকে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরকে সারা দেশে মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের মধ্যে যাদের স্বজন ও পরিবারের সদস্য নির্বাচন করছেন, তার তালিকা তৈরিরও নির্দেশ দেন।
সূত্র জানায়, এমপি-মন্ত্রীরা যাতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারাও বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
দেশে ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫টিতে ভোট হবে। পরে মেয়াদ শেষ হলে বাকিগুলোয় ভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে।