কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নে শ্বশুরবাড়িতে মো. খোকন মিয়া (৫০) নামে এক জামাইকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে উঠেছে। শনিবার ২ ডিসেম্বর দুপুুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোকন মিয়া মারা যান।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত খোকন মিয়া সুন্ধিরবন এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, ২০ বছর আগে মাইজখাপন ইউনিয়নের পাঁচধা এলাকায় বিয়ে করেন নিহত খোকন মিয়া। তাদের পরিবারে তিনটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগেই আছে। স্ত্রী-সন্তান শ্বশুরবাড়িতে থাকায় শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঢাকা থেকে এসে খোকন মিয়া তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে উঠেন। এসময় দরজায় নক করলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন চোর বলে খোকন মিয়াকে আটক করে বেধে রেখে রাতভর হাতুড়িদিয়ে পিটিয়ে নির্যাতন চালায়। সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয়রা নিহত খোকনকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। শনিবার দুপুুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোকন মিয়া মারা যায়। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, নিহত খোকন কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বোন বাদি হয়ে ১১জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত নিহত খোকনের শ্যালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।