হাথুরুসিংহে একটু বকেঝকে বলতেন। আর খালেদ মাহমুদ সুজন বকাঝকা কিংবা শাসন করলেও ‘আদর করেন’। দুই প্রশিক্ষকের ভেতর এমন পার্থক্যই দেখছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
সাড়ে তিন বছর জাতীয় দলের হেড কোচের ভূমিকায় ছিলেন চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার সময়ে কড়া শাসনে থাকতে হতো ক্রিকেটারদের। চুন থেকে পান খসলেই খেতে হতো বকা! শ্রীলঙ্কার অনুশীলনেও তার এমন দাপট চলছে। প্রথম দিন সবাইকে বলে দিয়েছেন, ‘প্রস্তুতির সময় কোনো ছাড় নয়। কারো গান শুনতে ইচ্ছে করলে ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি চলে যেতে পারো।’
অন্যদিকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের ছায়ায় বাংলাদেশের দায়িত্ব সামলানো খালেদ মাহমুদ সুজনের প্রক্রিয়াটি অন্যরকম। তাসকিন শনিবার অনুশীলন শেষে সেটাই বলতে চাইলেন, ‘একেকজনের বোঝানোর পদ্ধতি একেক রকম। উনি (হাথুরুসিংহে) হয়তো একটু বকেঝকে বলতেন, আর সুজন স্যার রাগ করলে বকেন! তবে আদর করে বোঝান, যেন আমরা সহজে ধরতে পারি।’
ত্রিদেশীয় ও শ্রীলঙ্কা সিরিজ সামনে রেখে ঘোষিত ৩২ সদস্যের প্রাথমিক দলে ১১ জনই পেসার। ক্লাব ক্রিকেট ও বিপিএলে তারা সবাই কম-বেশি খেলেছেন সুজনের কোচিংয়ে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সুজনের অধীনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাসকিনের। আছে শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতাও। পুরনো কোচকে জাতীয় দলে পেয়ে নিজেকে ছন্দে ফেরানোর টোটকাও নাকি পেয়ে গেছেন এই ডানহাতি পেসার।
‘সুজন স্যারের সঙ্গে আমরা বোলাররা যারা আছি তারা ছোটবেলা থেকেই কাজ করছি। তিনি জানেন কার কী শক্তি। আমার ইনকাটটা ন্যাচারাল। আমি সাউথ আফ্রিকাতে যাওয়ার আগে আউট সুইং নিয়ে বেশি কাজ করতে গিয়ে ওই মূল শক্তির জায়গায় ফোকাস করতে পারিনি। এখন আবার সেটা করছি। সুজন স্যার ওখানেই ফোকাস করাচ্ছেন। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।’
তাসকিন বলেন, ‘আমার ক্ষেত্রে আউট সুইংয়ের গ্রিপটা কাজে আসেনি। ওটা হয়ত ভিন্নভাবে করতে হবে। সুজন স্যার অনেক সহযোগিতা করছেন। ভিডিও করা হচ্ছে। স্পট বোলিংয়ের পরিমাণ কার কত সেটা দেখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে আমরা একটু ভিন্ন কিছু করছি, আশা করি ভাল কিছু হবে।’