এবার সেন্ট বা সাধু উপাধি পেতে আর কোনো বাধা নেই মাদার তেরেসার। এ উপাধি পেতে পোপের কাছে ঐ ব্যক্তির অন্তত দুটি ঐশ্বরিক ক্ষমতা প্রমাণিত হতে হয়।
শান্তিতে নোবেলজয়ী এই নারীর দুটি কাজকে ঐশ্বরিক হিসেবে ঘোষণা করেছেন পোপ।
২০০৩ সালে মাদার টেরেসার প্রথম একটি কাজকে ঐশ্বরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেন পোপ জন পল টু। এবার দুরারোগ্য মস্তিষ্কের অসুখে আক্রান্ত মৃতপ্রায় এক ব্রাজিলিয়ানকে সারিয়ে তোলার ঘটনাকে ঐশ্বরিক হিসেবে প্রশংসা করলেন পোপ ফ্রান্সিস।
সুতরাং সেবার আলোকবর্তিকা বহনকারী নারী মাদার তেরেসার এবার সেন্ট হতে আর কোনো বাধাই নেই।
ঐশ্বরিক ক্ষমতা কেউ কর্মসূত্রে গ্রহণ করে না বরং এটি ঈশ্বর প্রদত্ত। ঈশ্বরই কিছু কিছু মানুষকে ঐশ্বরিক ক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীতে প্রেরণ করে বলে মনে করে ভ্যাটিকান। পরবর্তীতে ভ্যাটিকানে তাদের ক্যানোনাইজেশন পদ্ধতির মাধ্যমে সেন্ট বা সাধু উপাধি দেন স্বয়ং পোপ।
৯৯৩ খ্রীষ্টাব্দে প্রথম সেন্ট উপাধি পান বিশপ আলরিত অফ আলসবার্গ। তাকে স্বীকৃতি দেন পোপ পঞ্চদশ জন। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরেই হয়তো ভ্যাটিকানের তরফ থেকে সেন্ট ঘোষণা করা হবে মাদার তেরেসাকে।