পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগিয়ে বিলুপ্তপ্রায় বড় কাইট্টা জাতের পাঁচটি কাছিম ছেড়ে দেয়া হয়েছে সুন্দরবন এলাকায়। এর মাধ্যমে কাছিমগুলোর গতিবিধি ও উপযোগী পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য পাবেন বিজ্ঞানীরা।
কাইট্টা জাতের কাছিম সংরক্ষণে দুটি বিদেশি সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ বন বিভাগ এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন।
মহাবিপন্ন কাছিম নর্দার্ন রিভার টেরাপিন। এর বৈজ্ঞানিক নাম বাটাগুর বাস্কা। বাংলাদেশে একে বড় কাইট্টা নামে ডাকা হয়। মূলত বাংলাদেশ এবং ভারতের সুন্দরবন এলাকার হালকা লবণাক্ত এবং কর্দমাক্ত এলাকা এর আবাসস্থল।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা জু, টারটেল সারভাইভাল এলায়েন্স ও বাংলাদেশের বনবিভাগ এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এই ধরনের কাছিম সংরক্ষণে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। টিকে থাকা কয়েকটি কাছিমের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর মাধ্যমে সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
আবাসস্থল ও গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা পেতে পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
জু ভিয়েনার বিজ্ঞানীরা ঘুরে গেছেন চ্যানেল আই কার্যালয়। প্রকৃতির জন্য চ্যানেলটির জনসচেতনামূলক নানা কর্মকাণ্ড দেখে মুগ্ধ হন তারা। মহাবিপন্ন এই কাছিমকে আবার প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দিতে সফল হবেন বলে আশা করেন প্রকল্পের অংশীদাররা।
শুধু চ্যানেল আই নয়, বাংলাদেশ দেখেও মুগ্ধ এই বিজ্ঞানীরা।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: