বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইউএনএইচসিআর ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত এলাকায় গত কয়েক মাস ধরে আশ্রয় নেয়া ৯ হাজার চার’শ রোহিঙ্গা শরণার্থী স্থানান্তরের কাজ শুরু করেছে। স্থানান্তরিত শরণার্থীরা যাতে সহজে মৌলিক সেবা ও সহযোগিতা পেতে পারেন এ জন্য এমন উদ্যোগ।
সাপ মারার ঝিরি ও বড় শনখলা এলাকায় অবস্থান নেওয়া এসব শরণার্থীকে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে স্থানান্তরের সহযোগিতা করবে এসব সংগঠন।
প্রথম দফায় ৪৭টি পরিবারকে রোববার (১৪ জানুয়ারী) কুতুপালং শিবিরে বাসে করে স্থানান্তর করা হয়। তাদেরকে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর খাবারও দেয়া হয়। এছাড়াও প্রত্যেকটা পরিবারকে জরুরি ত্রাণ এবং বাসস্থান সামগ্রী দেয়া হবে।
‘এইসব পরিবারগুলো মূলত সীমানার কাছাকাছি অপেক্ষাকৃত বিচ্ছিন্ন এলাকায় অবস্থান করছিলে, যেখানে যাওয়া এবং যথাযথ সহযোগিতা দেয়া ছিল অনেক কঠিন’- বলছিলেন ইউএনএইচসিআর এর মুখপাত্র ক্যারোলিন গ্লুক।
‘এসব মানুষগুলো শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারতেন না। কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে স্থানান্তরের ফলে তাদেরকে এখন থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া যাবে।’
গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। তাদের আবার মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে এই মাসেই।