হযরত শাহজালাল ও শাহ পরান এর মাজার জিয়ারত দিয়ে সিলেট থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচি৷
আগামীকাল বুধবার সিলেট রেজেস্ট্রি মাঠে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ২টায় শুরু হওয়া জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন ঐক্যফ্রন্টের শরীক জেএসডি নেতা আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না সহ শরীক দলগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
এরই মধ্যে জনসভার সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু।
আগামীকাল সকালে ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এয়ারে করে সিলেট যাবেন বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান তিনি।
সিলেটে জনসভায় জনগণের উপস্থিতি নিজেদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে যাবে ধারণা করছেন সিলেট নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক জিন্নুর চৌধুরী দিপু।
চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, আমরা সম্মিলিত এবং নিজ নিজ দল থেকেও পোস্টারিং, ব্যানারিংসহ প্রচার প্রচারণা করছি। গত পরশু সিলেটে সব দল মিলে জনসভার প্রস্তুতি বৈঠকও করেছি। আজকে সর্বশেষ বৈঠক হবে৷
জনসভায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবে বলে আশা করেন তিনি। তবে নিজ নিজ দল এবং ঐক্যফ্রন্টের দায়িত্বেও নিরাপত্তা জোরদার করা হবে বলে জানান দিপু।
এর আগে গত রোববার গণফোরাম কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং ও সমন্বয় কমিটির বৈঠক শেষে সিলেটে ২৪ অক্টোবর জনসভার অনুমতি পাওয়ার কথা জানান আ স ম আব্দুর রব।
প্রথমে হযরত শাহ জালাল (র.) ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারত, এরপর জনসভা হবে বলে জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই বামপন্থী দলের নেতা।
সিলেটের পর চট্টগ্রামে ২৭ অক্টোবর এবং ২ নভেম্বর রাজশাহীতে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা রয়েছে। ক্রমান্বয়ে সব বিভাগ ও মহানগর পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি দেওয়া হবে। এ ছাড়া জেলা পর্যায়েও কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান জেএসডি নেতা।