চট্টগ্রাম থেকে: আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি ভাঙলে হাল ধরতে হতো বোলারদের। তাসকিন-মোস্তাফিজ-শরিফুলদের সে পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। আফিফ-মিরাজই পেরেছেন বাংলাদেশকে জয়ের ঠিকানায় নিয়ে যেতে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টাইগারদের পেস ত্রয়ীকে ব্যাট হাতে নামতে হয়নি। তাই বলে স্বস্তিতে বসে থাকার সুযোগ নেই। এমনটা তো সবসময় হওয়ার নয়! তাইতো সাদা বলের ক্রিকেটে অভিষেকের আগেই নিজেকে প্রস্তুত করার মিশনে নামলেন ইবাদত হোসেন।
প্রয়োজনের সময়ে ব্যাট হাতেও যেন একটু হলেও অবদান রাখা যায় সে ভাবনায় এই পেসার সিডন্সের কাছে ১০ মিনিট চেয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ান কোচ দিয়েছেন দিগুণ সময়। বৃহস্পতিবার দুপুরে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের নেটে পেস বল কীভাবে খেলতে হবে, ইবাদতকে সে টোটকা দিয়েছেন জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ সিডন্স।
থ্রোয়ার রমজানের ১৪০ এর বেশি গতির বল ব্যাটে আনতে সিডন্সের পরামর্শ ছিল একটাই, সোজা ব্যাটে খেল। নইলে জোরে আসা বল ব্যাটেই লাগাতে পারবে না।
সিরিজ চলাকালীন অনুশীলনে প্রতিদিনই ইবাদতের জন্য ১০ মিনিট বরাদ্দ রাখবেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ সিডন্স। আবদার সাদরে গ্রহণ করায় খুশি ইবাদত। ব্যাটিং নিয়ে অনুশীলনে দুজন কথা বলেছেন অনেকক্ষণ। পরে ফিল্ডিং কোচ রাজিন সালেহ এসেও ইবাদতকে শ্যাডো করে অনেক কিছু বুঝিয়েছেন।
ইবাদত বলেন, ‘কালকের ম্যাচটাই যদি দেখেন, আফিফ-মিরাজের কেউ আউট হলে বোলারদের কিন্তু ব্যাট করে জেতাতে হতো। এমন চ্যালেঞ্জ ক্রিকেটে আসেই। সিডন্স আমাকে ১০ মিনিট করে সময় দেবে অনুশীলনে। আজ অবশ্য একটু বেশিই সময় দিয়েছে।’
বাংলাদেশ দলের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কম ব্যাটিং জানা খেলোয়াড় ইবাদত। ১২ টেস্টে ১৮ ইনিংসে তার রান মাত্র ৮। টানা ১০ ইনিংসে রানের খাতা খুলতে না পারার বিরল রেকর্ডও আছে তার। নিউজিল্যান্ড সফরে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রান করে শুণ্যের গেরো থেকে বের হন।
এর মধ্যে অবশ্য ৭ ইনিংসই ছিলেন অপরাজিত। সবমিলিয়ে ক্যারিয়ারের এগার ইনিংসে ইবাদতের ব্যাটিংটা চোখে লাগার মতো-০, ০*, ০*, ০, ০, ০*, ০*, ০*, ০*, ০*, ৪! ৫০ ওভারের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও ইবাদতের ব্যাটিং পারফরম্যান্স হতাশ করবে সবাইকে। ১১ ম্যাচে সাতবার নেমে করেছেন ১৪ রান। ইবাদতের ব্যাটিং শেখা ‘জরুরি’ সেটি না বললেও চলছে।