সময় টেলিভিশনের বিনোদন প্রতিবেদক আল কাছিরকে হুমকির অভিযোগে তরুণ গায়ক মাইনুল ইসলাম নোবেলের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কলাবাগান থানায় গিয়ে নোবেলের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন সময় টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী, প্রশাসন ও পরিচালন বিভাগের সৈয়দ আসাদুজ্জামান।
সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘রোববার দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে নোবেলের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করেন সময় টিভির সাংবাদিক আল কাছির। পরিচয়ের পর নোবেল সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ফোন কেটে দেন। তারপর ১২টা ৪৮ মিনিটে নোবেল নিজেই প্রতিবেদক আল কাছিরকে ফোন করে অপ্রকাশযোগ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং তাঁকে জেলে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন।’
নোবেলকে ফোন করার কারণ উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরিতে আরো লেখা হয়, “ভারতের জি বাংলার রিয়েলিটি শো থেকে আলোচনায় আসেন মাইনুল আহসান নোবেল। পরিচিতি পাওয়ার পর একাধিক বিতর্কের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত, দেশের স্বনামধন্য সংগীতশিল্পীদের নিয়ে বিভিন্ন সময় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে (নোবেল ম্যান) আপত্তিকর স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সম্প্রতি নগরবাউল জেমস, সুরকার ইথুন বাবু এবং সংগীতশিল্পী তাপসকে নিয়েও কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। সবশেষ নোবেল তাঁর ফেসবুকে নিজের মৃত্যুতারিখ ঘোষণা করে স্ট্যাটাস দেন। পেশাগত দায়িত্ব হিসেবে সময় টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক আল কাছির বিষয়টি নিয়ে নোবেলের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন মনে করেন।”
ফোনে সাংবাদিককে নোবেলের এমন হুমকির ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক বলছেন সাংবাদিক নেতারা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, নোবেলের এমন আগ্রাসী আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং নিন্দা জ্ঞাপন করছি। আমরা নোবেলকে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, কোনোভাবেই আপনার এমন আচরণ মেনে নেওয়া হবে না।
সংগঠনটির পক্ষে আরো বলা হয়, ভবিষ্যতে যদি পেশাগত দায়িত্ব পালনে কোনও সাংবাদিকের সঙ্গে এমন অন্যায় আচরণ করে, তবে আপনাকে বয়কট করা হবে। সেই সঙ্গে আপনার সঙ্গে যারা কাজ করবেন, বাচসাস তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে জিডি এবং সার্বিক বিষয় নিয়ে নোবেল জানান, ‘তিনি এসবে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন।’