‘সরকার খুব দায়িত্বহীনভাবে ও স্বেচ্ছাচারিতা করে পুরো কোটা বাতিল করেছে। কারণ যারা কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছিলেন তারা কোটা বাতিল চাননি’ বলে মন্তব্য করেছেন গণসংসহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে ১ম ও ২য় শ্রেণী সরকারি চাকরিতে কোটা পুরাপুরি বাতিলের প্রতিবাদে আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদের এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা চেয়েছিলেন কোটা সংস্কার করে যাতে একটা যৌক্তিক পর্যায়ে কোটা থাকে। তাদের আন্দোলনে ক্ষিপ্ত হয়েই সরকার এমন স্বেচ্ছাচারিতা করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
‘‘এদেশের সরকার এখনো চল্লিশটি আদিবাসী গোষ্ঠীকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। এখনো পাহাড়ে সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সেখানে কিভাবে অন্যায্যভাবে তাদের জন্য নির্ধারিত কোটা বাতিল করা হয়? তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, সরকার ছাত্র আন্দোলনের উপর বিষোদগার করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’
জুনায়েদ আরো বলেন, কোটা বাতিল সংবিধান পরিপন্থী। এটা সরকার করতে পারেনা। সব ধরনের কোটার প্রয়োজন আছে। যেগুলোকে সংস্কার করে সহনীয় পর্যায়ে রাখা উচিত।আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘মাদল’ এর নেতা অ্যান্থনি রেহমা বলেন, এই রাষ্ট্র আমার না, এই দেশ আমার না, কারণ এখানে বলা হয় উন্নয়নের কথা। আমাদের অধিকারের কথা বলা হয়না। পাঁচ শতাংশ কোটা আদিবাসীদের অধিকার, পিছিয়ে পড়া পাহাড়িদের অধিকার। সেটা কেড়ে নিয়ে কখনো সমতার রাষ্ট্র গড়ে তোলা যায়না।
আরেক শিক্ষার্থী রিবেং দেওয়ান বলেন,আমরা আদিবাসীরা কখনো আমাদের অধিকার পাই না। আমাদেরকে নানা ছলনায় ফেলা হয়। শেষে চাকরিতে পাঁচ শতাংশ কোটাও নিয়ে নেয়া হলো। সব জায়গায় মধ্যম আয়ের দেশ বলে যে উন্নয়নের কথা বলা হয় সেটা একজন পাহাড়ির জন্য প্রযোজ্য না।