তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে গ্রেপ্তার আলোকচিত্রী ও দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা (ডিভিশন) দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেনি সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।
শহিদুলকে ডিভিশন দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন সোমবার কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতির আদালত।
সোমবার আদালতে শহিদুলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আজকের এই আদেশের ফলে শহিদুল আলমকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা (ডিভিশন) দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রইল বলে জানান আইনজীবীরা।
এর আগে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর শহিদুল আলমকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা (ডিভিশন) দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
প্রথম শ্রেণির ডিভিশন চেয়ে শহিদুল আলমের পক্ষে করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।
গত ৬ আগস্ট এ মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারিক আদালত।
এরপর গত ১৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
কিন্তু গত ১৯ আগস্ট শহিদুলের জামিন আবেদন শুনানির তারিখ এগোনোর আবেদন করা হলে তা গ্রহণ করেননি আদালত। একই আদালতে গত ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চাইলেও আদালত শুনানির জন্য তা গ্রহণ করেননি।
এরপর গত ২৮ আগস্ট হাইকোর্টে শহিদুল আলমজামিন আবেদন করলে বিচারপতি মো: রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনটি শুনতে বিব্রত বোধ করেন।
এরপর নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যায় এবং তিনি নতুন বেঞ্চে জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠান।
সেই ধারাবাহিকতায় জামিন আবেদনটি বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির আসে।
হাইকোর্ট বেঞ্চ শহিদুল আলমের জামিন আবেদন ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর শহীদুলের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে তা নামঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক ও মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে শহিদুল আলমকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় গত ৬ আগস্ট গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
তবে তার পরিবারের দাবি আগের দিন ৫ আগস্ট রাতে শহিদুল আলমকে তার বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।