‘কিছু মানুষ তাকে দানব হিসেবে তুলে ধরছে। জাস্টিন ল্যাঙ্গার এমন নয়। যদি তার কোনো দুর্বলতা থেকে থাকে, সে-ই প্রথম তা মেনে নেবে। সে আপনার সঙ্গে বসবে, চোখে চোখ রেখে কথা বলবে এবং সমস্যার সমাধান খুঁজবে।’
অস্ট্রেলিয়া দলের হেড কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের পর ল্যাঙ্গারকে নিয়ে চলছে নানাধরনের আলোচনা। সাবেক সতীর্থরা থেকে শুরু করে অনেকেই বলছেন বিষয়টি ঠিকমতো সামলাতে পারেনি বোর্ড। নেতিবাচক মন্তব্যও আসছে। সেসবে ক্ষুব্ধ অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এভাবেই জানিয়েছেন প্রতিক্রিয়া।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ জিতেছেন এমন কোচকে মাত্র ছয় মাসের চুক্তি বাড়ানোর কথা বলেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। উপযুক্ত ব্যাখ্যা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির প্রস্তাব কেনো দেয়া হয়নি, তাতে স্তম্ভিত গিলক্রিস্ট। বোর্ডের পক্ষ থেকে ল্যাঙ্গারের কোচিং মেয়াদকে পরিবর্তনকালীন সময় হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়।
সোমবার অজিদের সাবেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার বলেছেন, ‘কোচের অবস্থান, প্রয়োজনীয়তা এবং বিবর্তন নিয়ে, পরিবর্তনকালীন সময় নিয়ে কর্পোরেটদের বিশ্লেষণকে আমি পাত্তা দেই না।’
‘অবশ্যই, সেখানে কিছু অনৈক্য আছে বলে মনে হচ্ছে। মনে করি না যে খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগতভাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে কঠোরভাবে চাপ দিয়েছে। খেলোয়াড়রা বা ম্যানেজাররা এমন করেছে কিনা আমি এভাবে বলতে পারি না। অথচ গণমাধ্যমে বিষয়টি সেভাবেই এসেছে। জাস্টিনকে তার অবস্থান থেকে সরানোর জন্য সম্মিলিত চাপ ছিল।’
‘এটি আপনার উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে? পরিবারের উপর প্রভাব কেমন? আপনি এমন একটি সময়ের মাঝে যেখানে জানেন না কী হচ্ছে। মনে করি এটি বেশ অবিবেচকের মতো সিদ্ধান্ত ছিল। কিছু সিদ্ধান্ত লোভের কারণে প্ররোচিত হয়ে নেয়া হয়েছে। এটি সত্যিই আমাকে হতবাক করেছে।’ যোগ করেন গিলক্রিস্ট।
ল্যাঙ্গারের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তিনি দীর্ঘমেয়াদে চুক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। হোবার্টে অ্যাশেজের শেষ টেস্টের সময় ও বোর্ড সভার মধ্যে সিএ প্রধান নির্বাহী নিক হকলি এবং জাতীয় দলের সিএ প্রধান বেন অলিভারের সঙ্গে একাধিকবার চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
শেষে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে আট ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকের পর ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন ল্যাঙ্গার।