রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো প্রকার সিম বিক্রি, সিম ব্যবহার, এমনকি মোবাইল ফোন ব্যবহারসহ ইন্টারনেট ব্যবহারে যে নিষেধাজ্ঞা বিটিআরসি দিয়েছিল তা কার্যকর হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নির্মল সেন মিলনায়তনে রোহিঙ্গাদের টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কিত অনুষ্ঠানে আয়োজকরা এমন অভিযোগ করে তারা।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কিত বিটিআরসির যে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে তা এখনও কার্যকর হয়নি।
তারা বলেন, ‘‘বিটিআরসি অপারেটরদের কে একটি নির্দেশনা প্রদান করে যাতে বলা হয়, আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোন প্রকার সিম বিক্রি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সিম ব্যবহার বন্ধ তথা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মোবাইল সুবিধাদি প্রদান না করা সংক্রান্ত সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করে বিটিআরসিকে অবগত করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
পরের দিন আরেক নির্দেশনায় বলা হয়, সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় থ্রি-জি ও ফোর-জি সেবা বন্ধ থাকবে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ থাকবে। একটি অবৈধ সেবা গ্রহণ করে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশকারী নাগরিকগণ সংগঠিত হচ্ছে, অপরাধ করছে এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করছে।’’
এই অবস্থায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক ঘণ্টার জন্য বিটিআরসি টেলিযোগযোগ ও ইন্টারনেট সেবা দিতে পারে কি না বা তাদের সেই ক্ষমতা আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
তারা জানায়, ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে ১২টি ক্যাম্প পরিদর্শন করে লক্ষ্য করা গেছে রোহিঙ্গারা অবাধে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। যদিও নির্দেশনার প্রথম দিন ইন্টারনেটের গতি অনেক জায়গায় কম ছিল।
কিন্তু বিটিআরসি’র নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি বলে মনে করেন সংগঠনটি।