নেকব্লাস্ট বা শীষ পচা রোগে আক্রান্ত হয়েছে রংপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার ধান ক্ষেত। স্বল্প সময়ে ছড়িয়ে যাওয়া এ রোগ থেকে উঠতি বোরো ধান বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন কৃষক।
চলতি মৌসুমে রংপুর জেলায় ৫ লাখ এক হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলনও হয়েছে ভালো। কিন্তু ধান ঘরে তোলার আগ মুহুর্তে রংপুর সদর, কাউনিয়া, পীরগাছা, পীরগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার ক্ষেতে দেখা দিয়েছে নেকব্লাস্ট বা শীষ পচা রোগের প্রাদুর্ভাব।
একজন কৃষক ধান দেখিয়ে বলেন, এই রোগটা ৬-৭ ঘণ্টায় শতকরা ২০-২৫টা করে ধানের শীষে ধরতেছে। রোগটা থামানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
সেচ নির্ভর বোরো ধান উৎপাদনে খরচ বেশি হওয়ায় অনেক কৃষক এখন ঋণে জর্জরিত। নেকব্লাস্ট বা শীষ পঁচা রোগ ঠেকাতে নিয়মিত কীটনাশক ব্যবহার করায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ার বিষয়।
এলাকার আরেকজন কৃষক বলেন, বেশ কয়েকবার আমাদের ওষুধ দিতে হয়। এতে খরচও অনেক। তার উপর বর্তমানে যে ধানের বাজার, এটা এমন থাকলে আমরা মাঠে মারা যাবো।
রোগ ঠেকানো না গেলে ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগও। রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাদের।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিধপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক জুলফিকার হায়দার বলেন, নেকব্লাস্ট বা শীষ পচা এই রোগটা বীজ থেকে হয় এবং বাতাসের মাধ্যমে তা ছড়ায়। এছাড়া দিনে তাপমাত্রা বেশি ও রাতে ঠান্ডা থাকে তাহলেও এই রোগের বিস্তান ঘটে।
তিনি আরও বলেন, কৃষি সম্প্রাসারণের পক্ষ থেকে স্কোয়াড গঠনের মাধ্যমে এটাকে দমনের ব্যবস্থা নিচ্ছি।