বঙ্গোপসাগর এলাকা দিয়ে মানবপাচার ও অভিবাসী সংকট এবং সাগরে ভাসা অভিবাসীদের ভাগ্য নির্ধারনের আলোচনায় বসেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১৭টি দেশের গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যক্তিরা। থাইল্যান্ডের আহ্বানে ব্যাংককে এই বৈঠক বসেছে।
সাগরে ভাসমান মানবিক বিপর্যয় ও অভিবাসীদের আশ্রয় দিতে উপকূলীয় দেশগুলোর অনীহার মধ্যেই ব্যাংককে বৈঠক শুরু হলো।
বৈঠকের শুরুতে বক্তৃতায় থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানাসাক প্যাটিমাপ্রিগর্ন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায়ার এই অভিবাসী সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে এবং এখনই এ সমস্যার সমাধান না হলে ভবিষ্যতে তা তীব্রতর হবে এবং এই সমস্যা প্রকৃতপক্ষে কোনো দেশ একা সমাধান করতে পারবে না।
তিনি বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বৈঠকে এই সমস্যাটির প্রকৃত কারণটিও তুলে ধরতে হবে।
তিনি আরো বলেন, তিনটি উদ্দেশ্য সামনে রেখে তার দেশ এই বৈঠকটি আহ্বান করেছে। তা হল, সাগরে আটকা পড়া অভিবাসী প্রত্যাশীদের মানবিক বিপর্যয়ের বর্তমান অবস্থাটা তুলে ধরা, ভবিষ্যতে এমন অবৈধ যাত্রা যেন কেউ না করে সেজন্য মানবপাচার বিষয়ক সমস্যাটির একটি স্থায়ী সমাধানের পথ বের করা এবং এই সংকটের প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করা।
বৈঠকে অভিবাসীদের জন্য সহায়তা তহবিলের ঘোষণা আসতে পারে। আর রোহিঙ্গা ইস্যুতে চাপ আসতে পারে মিয়ানমারের উপর।
বৈঠকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১৭ দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কম্বোডিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনামসহ বেশ কিছু দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন।
জাতিসংঘের অভিবাসী বিষয়ক কমিশন ইউএনএইচসিআর, ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন ইওএম, ড্রাগস এনাড ক্রাইম অফিস সহ বেশ কিছু সংস্থার পর্যবেক্ষকরাও বৈঠকে আছেন।