টাঙ্গাইল সদরের এক হতভাগা মা তার দেড়মাস বয়সী শিশু সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েও রেহাই পাননি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন থেকে! সম্প্রতি আবার যৌতুকের জন্য বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী। এবিষয়ে মামলা হলেও কাওকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অবিশ্বাস্য শুনালেও তিনি এমন এক হতভাগা মা, যিনি দশ মাস সন্তানকে নিরাপদে গর্ভে আগলে রাখলেও জন্মদানের দেড়মাস পরও বুকে ধরে রাখতে পারেনি! মাত্র বিশ হাজার টাকায় শিশু সন্তানটিকে বিক্রি করে দিয়েছে পাষণ্ড স্বামী।
বুকের ধন বিক্রির টাকাতেও লালসা মিটেনি তার। হতদরিদ্র পরিবারের কাছে আরো দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে আবারো শুক্রবার খুঁটির সাথে বেঁধে অমানসিক নির্যাতন করেছে স্বামী ও তার পরিবার।
টাঙ্গাইল সদরের খারজানা গ্রামের মৃত বিশা মিয়ার ছেলে আশরাফের সাথে বিয়ে হয় হতদরিদ্র পিতার ওই নারীর। কিছু দিন সংসার ভালো কাটলেও অভাব অনটনে যৌতুকের দাবিতে প্রায়শই শারীরিক নির্যাতন করা হতো তাকে। স্থানীয়রা বাধা দিলেও কোন প্রকার কর্ণপাত করেনি তারা।
পরে স্থানীয়রা নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে সিলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদেক আলীকে অবহিত করলে তিনি তাকে উদ্ধার করে মূমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোশারফ হোসেন।
প্রকাশ্যে খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতনকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে স্থানীয়রা।