চলতি আমন মৌসুমে ঝিকরগাছা উপজেলায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে বিভিন্ন জাতের আমন ধান। স্থানীয় অনেক কৃষক ভারত থেকে আসা প্রতীক ও স্বর্ণা ধানের বীজ সংগ্রহ করে রোপন করেন। বীজ রোপনের কয়েকদিন পরই বেশিরভাগ ধান ক্ষেতেই দেখা যায় ব্যাকটেরিয়া ও পাতা মোড়ানো রোগের আক্রমণ।
একজন কৃষক বলেন, এক কথায় ধানের পাতা পুড়ে সাফ হয়ে গেছে। ভালো করার জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু কিছুতেই কাজ হয় নাই। এখন ভাবছি এই ধানের মতো খারাপ ধান আর নাই।
নিম্নমানের ধানের বীজই ফলন বিপর্যের মূল কারণ বলে জানিয়েছেন বীজ ব্যবসায়ীরা। বীজ ব্যবসায়ী শাহ নেওয়াজ বলেন, ভারত থেকে কিছু অনুমোদনহীন বীজ আসে। এই সব ধানের রোগ মাঠের অন্যান্য ধানের মধ্যেও ছড়িয়ে যাচ্ছে।
রোগ-বালাই দমনে কৃষককে পানির সঙ্গে পটাশ ও থিওবিট মিশিয়ে ধান ক্ষেতে স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, যে পাঁচ হেক্টর জমিতে এই রোগ দেখা দিয়েছিলো আমরা ইতোমধ্যে পরামর্শের কারণে তারা রক্ষা পেয়েছে।