মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলের পুয়েবলা রাজ্যে হওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে দুইশ’ ছাড়িয়ে গেছে। ৭.১ মাত্রার ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে গুঁড়িয়ে গেছে বহু ভবন। অনেকে এখনো আটকা রয়েছে ধ্বংসস্তুপের নিচে।
ক্লাস চলাকালে ভূমিকম্পে মেক্সিকো সিটির কোয়াপা জেলার একটি স্কুল ভবন পুরোপুরি ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এনরিকে রেবাসমেন স্কুল নামের ওই স্কুল ভবন থেকে এখন পর্যন্ত ২২ শিশুসহ ২৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো আরও ১২ ব্যক্তি ও ৩০ শিশু নিখোঁজ রয়েছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনী নামিয়েছে মেক্সিকো সরকার। আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধারের জন্য কয়েকশ’ স্বেচ্ছাসেবক সেনা সদস্য ও জরুরি উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
মেক্সিকোর ফেডারেল ইলেক্ট্রিসিটি কমিশন জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ সংযোগের ৭০ শতাংশই আবার চালু করা সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলে হওয়া ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল রাজধানী মেক্সিকো সিটি থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৩৫ কিলোমিটার গভীরে।
মাত্র দু’সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও কেঁপে উঠল মেক্সিকো। সপ্তাহ দু’য়েক আগে মেক্সিকোর দক্ষিণ উপকূলের কাছে হওয়া ৮.১ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ৯০ জন নিহত হয়েছিল।
এছাড়া ১৯৮৫ সালের ঠিক এ দিনেই মেক্সিকোতে জোরালো ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। তখনকার ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিল প্রায় ১০ হাজার মানুষ। ৩২ বছর পর নিহতদের স্মরণে মেক্সিকো সিটিতে মহড়া চলাকালেই শক্তিশালী ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।