সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার প্রতিষ্ঠাতা ও ২৬/১১ মুম্বাই হামলার কথিত মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সাইদকে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। তিনি জঙ্গিগোষ্ঠী জামায়াত-উদ-দাওয়ারও প্রধান।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তার যাবতীয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এমনকি হাফিজ সাইদ যে মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করেছেন তাও সরকারি কব্জায় নেওয়া হবে।
আদালত তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এবং ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করারও নির্দেশ দিয়েছেন।
হাফিজ সাইদের ছেলে হাফিজ তালহাকে সন্ত্রাসীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে পাকিস্তান। তাকে তালিকার ৩২ নম্বরে রাখা হয়েছে। সে এখন লস্কর-ই-তাইয়েবার প্রধান ও আধ্যাত্বিক নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
২০২০ সালে হাফিজ সাইদকে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার একটি মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আদালত ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়। ৭০ বছর বয়সী হাফিজ সাইদকে আরও কয়েকটি সন্ত্রাসী আর্থিক মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানে বিভিন্ন সময়েই আটক হয়েছেন হাফিজ সাইদ। কখনও কখনও গৃহবন্দী অবস্থাতেও থেকেছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের ঠিক আগে ২০১৯ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল হাফিজকে। সেই সময় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করেছিলেন যে ১০ বছরের তল্লাশির পর সাইদকে আটক করা হয়েছে।