মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্থায়ী ভবন নির্মাণে দশ হাজার টাকায় একটি প্রতীকী ইট কিনে, জাতির গৌরব সংরক্ষণে অংশীদার হওয়ার আহ্বানে সাড়া না দিয়ে পারেননি ওরা ১৪ জন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া প্রাক্তন ও বর্তমান এই কয়েক শিক্ষার্থী দশ হাজার টাকা জমিয়ে কিনলেন একটি প্রতীকী ইট। তবে নিজেদের নামে নয়! মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃৃপক্ষকে অবাক করে দিয়ে শাওন, আলাল, শাফি, নাদভীরা ইট কিনেছেন নারী মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবি’র নামে।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবি’র নামে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অংশীদার হওয়ার গৌরব তুলে ধরেছেন ওই ১৬ জনের একজন এনায়েত শাওন।
শাওন লিখেছেন,“মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অনেকেই অবাক হয়েছে।কারণ আমরা যে প্রতীকী ইট (১০,০০০ টাকা) কিনতে গিয়েছিলাম তা আমাদের নিজেদের নামে না কিনে একজন নারী মুক্তিযোদ্ধার নামে কিনেছি বলে। সাধারণত সবাই নিজেদের নামেই কেনে। আর আমরা আমাদের ‘মাতাহারি’, নারী মুক্তিযোদ্ধা “কাঁকন বিবি’র” নামে একটি প্রতীকী ইট কিনেছি।
হয়তো সামান্য এই টাকা প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই না তবু আমরা কয়েকজন মিলে একটা ইট কিনেই ফেললাম। চাইলে আপনিও কিনতে পারেন।
বাংলার আপামর জনসাধারণের এই কিছু কিছু অবদানেই স্থায়ী হয়ে উঠবে আমাদের দুর্নিবার হয়ে ওঠা রক্তোজ্জ্বল ইতিহাস।
সবাইকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই অধমের ডাকে সাড়া দিয়ে একটা ইটের অংশীদারিত্বের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।
……আবেগাপ্লুত।
বিশেষ ধন্যবাদ ভূইয়াঁ সাহেব যোসেফ ভাইরে…”
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে তিন মাসব্যাপী একটি প্রচারাভিযান শুরু করেছে। এ সময়ের মধ্যে জাদুঘর নির্মাণ কাজে যেকোনো পরিমাণের অর্থ অনুদান হিসেবে গ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে ১০ হাজার টাকায় প্রতীকী ইট কিনে যে কেউ এ জাদুঘরের অংশীদার হতে পারবেন। এ জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ অ্যাকাউন্টে (নম্বর: ১৫০১১০১৬৫৮৬৩৭০০১) এবং বিকাশ নম্বর : ০১৭৩০৬০০০৬২-এ টাকা পাঠানো যাবে।