বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও প্রথিতযশা আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মরদেহ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
পরের দিন শুক্রবার রাজধানীতে কয়েক দফা জানাজার পর নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে পারিবারিক কবরাস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এসব তথ্য জানিয়ে প্রয়াত মওদুদ আহমদের ব্যক্তিগত সহকারী মোমিনুর রহমান সুজন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘সিঙ্গাপুর থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মওদুদ আহমদের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছাবে। এরপর বিমানবন্দর থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে।’
‘‘স্পিকারের অনুমতি সাপেক্ষে শুক্রবার সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মওদুদ আহমদের প্রথম জানাজার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর শুক্রবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এবং বেলা ১১টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজা হবে তার।’’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর মওদুদ আহমদের কফিন নিয়ে যাওয়া হবে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে। ওইদিন সাড়ে ৪টায় কোম্পানিগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে জানাজার পর নিজের বাড়ির আঙিনায় আরেক দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরাস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে তাকে।’
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মারা যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ। ৮১ বছর বয়সী এ রাজনীতিক কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের আমলে দেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী মওদুদ আরেক সেনাশাসক এইচ এম এরশাদের সময়ে উপ-রাষ্ট্রপতির ছিলেন। এছাড়াও ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত এই রাজনীতিবিদ ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪০ সালে নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করা মওদুদ আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা শেষ করে যুক্তরাজ্যে বার-অ্যাট-ল ডিগ্রি নেন। পরে দেশে ফিরে যুক্ত হন আইন পেশায়।
দেশের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও আইনজীবীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।