ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হয়েছেন? নাকি চিরকুট দিয়ে ঢাবিতে ভর্তি হয়েছেন? এমন প্রশ্ন রেখে বামপন্থী ছাত্রনেতা আবু রায়হান খান বলেছেন, ‘আমরা আগে দেখতাম প্রাইমারি স্কুলে হেড মাস্টারের চিরকুটে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হতো। কিন্তু কালেরবিবর্তনে তা আজ ঢাবিতেও চর্চিত হচ্ছে।’
রোববার রাতে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আলোর মিছিল’ শেষে এ প্রশ্ন তোলেন ছাত্র ফেডারেশন ঢাবি শাখার সভাপতি রায়হান খান।
ছাত্রলীগ নেতাদের চিরকুটের মাধ্যমে সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি করানোর অভিযোগ ও রোকেয়া হলের নিয়োগে হয়ে যাওয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে রোববার রাতে ক্যাম্পাসে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আলোর মিছিল’ করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো।
রোকেয়া হলের নিয়োগ বাণিজ্যের খবরের কথা উল্লেখ করে আবু রায়হান বলেন, দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে আনা কোনো অপরাধ নয়। তাহলে কিভাবে প্রশাসন রোকেয়া হলের কর্মচারী শাহিনকে চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দেয়?
অভিযোগের বিষয়ে ব্যাবসায় অনুষধের ডিন ড. শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন: এখানে আসলে একটি ইতিবাচক কাজকে পুরোপুরি নেতিবাচক হিসেবে দেখানো হয়েছে।ঢাবির অনেক গ্যাজুয়েট আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে গ্যাজুয়েশন শেষ করেই চাকরিতে প্রবেশ করে।আমি আমাদের সেই সব শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে তারা যেন সকালে চাকরি করে বিকেলে ইভিনিং এর সাথে ক্লাস করতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি।ওরা আমাদের নিয়মিত ছাত্র। তাদের আবার নতুন করে কেন পরীক্ষা দিতে হবে?
যাদের গ্যাজুয়েশন করার পর আর্থিক অসুবিধার কারণে দুই থেকে তিন বছরের একটা গ্যাপ হয়েগেছে তারাই এ সুবিধাটা ভোগ করছে।কিন্তু এখানে পরীক্ষা না দেয়া শিক্ষার্থী একজনও নেই। আমাদের নিয়মিত ছাত্রদের আমরা মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচন করেছি তাদেরকে সাহায্য করার জন্য।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাবি শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জিনাত হুদার সহোযোগিতায়, হল ছাত্রলীগের নেত্রী ও হল সংসদের নেত্রীরা মিলে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন।
সালমান বলেন, আজকে পত্রিকায় আপনারা দেখেছেন যে চিরকুটের মাধ্যেমে ছাত্রলীগের নেতাদের ভর্তি করেছিলো ব্যবসায় অনুষধের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। পরবর্তীতে তারা ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচন করে ছাত্র প্রতিনিধি হয়েছেন।
এ সময় তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, ব্যাবসায় অনুষধের ডিন ড. শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম ও রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জিনাত হুদার পদত্যাগের দাবি করেন।