ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙ্গে বিলে পড়ে কমপক্ষে ৩৬ জন নিহত হয়েছে।
উদ্ধারকাজে দেরির অভিযোগ তুলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় এলাকাবাসী। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। পরে উদ্ধার কাজে তদারকি করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৭০ ফুট গভীর বিলে পড়ে যায় যাত্রীবাহী বাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই ৩৫ যাত্রী প্রাণ হারান। ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এক নারী যাত্রী। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে আরো অনেক যাত্রী।
দুর্ঘটনার কবল থেকে বেঁচে যাওয়া বিভাসচন্দ্র বিশ্বাস জানিয়েছেন, যাত্রার শুরু থেকেই বাসটা খুব দ্রুত চলছিল। সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় মোবাইলে কথা বলছিলেন চালক। সেসময় একটি লরিকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙ্গে বিলের পানিতে পড়ে যায় বাসটি।
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাজার হাজার উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সরকারিভাবে উদ্ধারকাজ দেরিতে শুরু হলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আসলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়।
এসময় পুলিশের সাথে বাদানুবাদ শুরু হলে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকলে কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ ।
দুপুরে ঘটনাস্থল তদারকি করতে পৌঁছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, পরিবহণ মন্ত্রী ও পরিবহণ সচিব। মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবারপ্রতি ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দেন।