চট্টগ্রাম থেকে: অনুশীলনে বোলারদের ব্যাটিং করার সুযোগ কমই হয়। টাইগারদের ব্যাটিং পরামর্শক হয়ে মার্ক ও’নিল আসার পর সেই চিত্রটা একেবারেই বদলে গেছে। তাসকিন, মোস্তাফিজ, রুবেল, তাইজুলরা নেটে ব্যাট চালাচ্ছেন তামিম-মুশফিকদের সমানতালে! জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের চারটি নেটে যার যার শক্তিমত্তা অনুযায়ী করে যাচ্ছেন অনুশীলন। টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম আশা করছেন এভাবে চলতে থাকলে বোলাররাও ‘রানে’ রাখতে পারবেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
‘লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে অনেক কাজ করছেন কোচ। টেস্টে লোয়ার অর্ডারদের অনেক বড় ভূমিকা থাকে। বড় দলগুলোর শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরাও ২০ গড়ে রান করে। যেটা দলকে অনেক সাহায্য করে। এই চেষ্টায় তাৎক্ষণিক ফল না পেলেও ভবিষ্যতে হয়ত কাজে দেবে। অনেক টেস্ট ম্যাচ হয়ত বোলাররা জেতাবে বা বাঁচিয়ে দেবে।’
অস্ট্রেলিয়ান কোচ কাজ করছেন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়েও। তাতে উপকৃত হচ্ছেন মুশফিকরা, ‘ব্যাটিং কোচ আসায় আমাদের সাহায্য হচ্ছে। কোচও (হাথুরুসিংহে) বলেছেন যে, হয়ত নতুন কারও চোখে নতুন কিছু ধরা পড়তে পারে। প্রধান কোচ আমাদের অনেকদিন ধরে দেখছেন, হয়ত এড়িয়ে যেতে পারে কিছু। নতুন কারও চোখে ভিন্নভাবে সেটা ধরা পড়তে পারে। আমার ওনার সঙ্গে কথা বলে বেশ ভালো লেগেছে। মৌলিক ব্যাপারগুলো বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন।’
টেস্ট জিততে হলে বোলারদের ভূমিকা বড় হয়ে ওঠে। প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট তুলে নেওয়ার কোনও বিকল্প তাই নেই। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আসন্ন সিরিজের আগে বর্তমান বোলিং ইউনিটের উপরও ভরসাই রাখছেন মুশফিক, ‘আমরা এত দীর্ঘ ব্যবধানে টেস্ট খেলি যে, প্রতি সিরিজেই দেখা যায় নতুন বোলিং কম্বিনেশন। নতুনদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যায় কাজটা। তবে ২০ উইকেট নেওয়ার বৈচিত্র্য আমাদের আছে। মোস্তাফিজ আছে, তাসকিন-তাইজুল-মিরাজরা আছে, সাকিব-রুবেল-শফিউলরা আছে, শুভাশিষও; আমি মনে করি যেকোনো দলের বিপক্ষে এখন ২০ উইকেট নিতে পারি আমরা।’