প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ্র মা নীলা চৌধুরী কথা বলেছেন চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে। আজ ৭ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় লন্ডন থেকে ভাইবারে কথা বলেন তিনি। সালমান শাহ্র হত্যা মামলার ব্যাপারে আলাপ হয় তার সঙ্গে। তিনি এখন লন্ডনে আছেন, সালমান শাহর ছোট ভাই শাহরানের কাছে।
সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামি রাবেয়া সুলতানা রুবি আজ একটা ভিডিও প্রকাশ করেছেন।
হ্যাঁ, ভিডিওটি আমি দেখেছি। এতদিন আমি যা বলার চেষ্টা করেছি, আজ তা সত্য হলো। দেরিতে হলেও আমার ইমনের (সালমান শাহ্) খুনিরা স্বীকার করেছে সত্যটা।
ভিডিও প্রকাশের পর বাংলাদেশের তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে আপনি যোগাযোগাগ করেছেন?
না, এখনো করতে পারিনি। তবে আমি সরকারেরর কাছে অনুরোধ করব, তারা যেন আর কালবিলম্ব না করে। সেই সঙ্গে আমি আশঙ্কা করছি সামিরারা যে কোনো মুহূর্তে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে পারে। তাদের যেন শিগগিরই গ্রেফতার করা হয়।
রাবেয়া সুলতানা রুবি আপনার সহায়তা চেয়েছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছেন?
না। করতে পারিনি। চেষ্টা করেছি। তবে তাকে সেভ করা উচিত। এফবিআইয়ের মাধ্যমে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত। যে আসামি কিছুদিন আগে পর্যন্তও খুনের কথা অস্বীকার করে এসেছে। বারাবার আমার ইমনকে ড্রাগ অ্যাডিক্টেড বলে আজেবাজে কথা বলেছে, সেই এখন স্বীকার করে নিচ্ছে। এর চেয়ে বড় প্রমাণ আর কী হতে পারে!
সালমান শাহ্ হত্যা মামলার সর্বশেষ অবস্থা কী ছিল?
তারা বরাবরের মতো আত্মহত্যা বলে রিপোর্ট দিয়েছে। আমি বারবার হত্যা বললেও তারা আমার কথা শোনেনি।
এখন তো মামলা নতুন মোড় নিচ্ছে। আপনি দেশে আসবেন?
আমি যে কোনো মুহূর্তেই দেশে চলে আসব। ১৬ আগস্ট ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহাসম্মেলন করার কথা আছে। ওই দিন আমাকে সবাই পাবেন। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সরকারের কাছে বারবার নিজের নিরাপত্তার আবেদন করেও পাইনি। আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। আপনারা সালমান শাহ্ হত্যার ন্যায্য বিচার করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করুন। সালমানের ন্যায্য বিচার হলে দেশ কলঙ্কমুক্ত হবে, আর আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে। একজন মা হিসেবে এটা আমার অনুরোধ।
১৯৯৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর ১১/বি নিউ ইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার বাসার নিজ কক্ষে সালমান শাহকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ ১১ জনকে সালমান শাহের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে হত্যা মামলা দায়ের করে সালমানের পরিবার। অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সামিরার মা লতিফা হক লুসি, রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, সহকারী নৃত্যপরিচালক নজরুল শেখ, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, রাবেয়া সুলতানা রুবি, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহকর্মী মনোয়ারা বেগম।
জানা গেছে, পুলিশ দুই দফা ময়নাতদন্ত করে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেছিল। কিন্তু তখন সালমান শাহ্র পরিবার থেকে নারাজি আবেদন করা হয়। মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তও হয়েছিল। এখন মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে ((পিবিআই) আছে।
ইউটিউবে রাবেয়া সুলতানা রুবির বক্তব্য: