ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে ওপেনিং জুটির রেকর্ড গড়েও দলের হার দেখতে হয়েছে মিজানুর রহমান ও জুনায়েদ সিদ্দিকীকে। সোমবার তাদের দলে ব্রাদার্সের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জিতে মাঠ ছেড়েছে অগ্রণী ব্যাংক।
ফতুল্লায় অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ব্রাদার্স ইউনিয়নের দুই ওপেনার মিজানুর-জুনায়েদ মিলে যোগ করেন ২০০ রান। পরের ব্যাটসম্যানরা সেভাবে জ্বলে উঠতে না পারায় ২৮৯ রানে থামে দলীয় সংগ্রহ। জবাবে চার ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে ৩ উইকেট ও ৫ বল হাতে রেখে রান তাড়ায় সফল অগ্রণী ব্যাংক।
চলতি লিগে দুইশ কিংবা তার বেশি রানের জুটি এসেছে তিনটি। ওপেনিং জুটিতে এটিই প্রথম। চতুর্থ উইকেট জুটিতে খেলাঘরের ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও মানেরিয়া মিলে ২২১ রানের জুটি গড়েছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষেই। পরেরটি দ্বিতীয় উইকেটে। ব্রাদার্সের জুনায়েদ ও মায়শুকুর রহমান কলাবাগানের বিপক্ষে গড়েন ২০৫ রানের জুটি।
রান তাড়ায় নেমে ইনিংসের প্রথম বলে শাহরিয়ার নাফীসের (০) উইকেট হারালেও আরেক ওপেনার আজমীর আহমেদ ৬৫, সালমান হোসেন ৬৩, ভারতীয় রিক্রুট রিসি ধাওয়ান ৭০ ও জাহিদ জাভেদের ৫৫ রানের ইনিংস চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ টপকে যায় অগ্রণী।
সোহরাওয়ার্দী শুভ তিনটি, খালিদ আহমেদ দুটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা ও অলক কাপালি।
আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান তোলে ব্রাদার্স। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া মিজানুর ১০২ রান করে সাজঘরে ফেরেন শফিউলের বলে। এই পেসারের পরের ওভারে ৯২ রান করে সাজঘরে ফেরেন জুনায়েদ।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় সেভাবে ঝড় তুলতে পারেনি পরের ব্যাটসম্যানরা। ২৩ বলে ৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে সংগ্রহ তিনশ’র কাছে নিয়ে যান মায়শুকুর রহমান।
শফিউল ইসলাম নিয়েছেন চার উইকেট। একটি করে উইকেট নেন ধাওয়ান ও জাভেদ।