বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্তের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। উর্ধ্বমূখী সংক্রমণ ও আর মৃত্যুর মিছিলের ধাক্কা বর্তমানে উল্লেখযোগ্য হারে কমে এখন অনেকটাই সহনীয় অবস্থানে এসেছে। তবে সংক্রমণ কমে দুই শতাংশের মধ্যে আসলেও মহামারি শেষ হয়েছে তা বলার সময় আসেনি বলছেন বিশ্লেষকরা।
২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর থেকেই নানান চড়াই উৎরাই পার করেছে দেশ। প্রথম দিকে করোনার চিকিৎসা ছিল অজানা। পর্যায়ক্রমে রোগী ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা গাইডলাইন এবং হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় আইসিইউ ও অক্সিজেন সরবরাহে স্বক্ষমতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা মহামারির তৃতীয় ধাক্কা আসে। সেই ধাক্কাও কাটিয়ে বর্তমানে সংক্রমণ পরিস্থিতির এক সহনীয় অবস্থানে দেশ।
গত দুই বছরে দেশে দেশে করোনাভাইরাস জিনগত চরিত্র পরিবর্তন করেছে। পর্যায়ক্রমে ডেল্টা ধরনের পরিবর্তিত ১১ ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।
এই দুই বছরে মোট আক্রান্ত শনাক্ত ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭শ’ দুই জন। এই সময়ে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৮৯ জন।
আইইডিসিআর বলছে, দেশে করোনা আক্রান্ত শনাক্তের বেশিরভাগই ওমিক্রণ ধরনের। আগামীতে করোনাভাইরাস একেবারেই চলে যাবে, নাকি মৌসুমী রোগ হিসেবে থাকবে, তা সময়ই বলে দেবে।