বিশ্ব ইতিহাসে যে কয়জন মহান নেতা চিরস্মরণীয় তাদের মধ্যে একজন- ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত। কেবল ফিলিস্তিন নয়, তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের নিপীড়িত স্বাধীনতাকামী জনগণের মুক্তির প্রতীক। পেরিয়ে গেছে তার রহস্যজনক মৃত্যুর এক যুগ, তবু আজও প্রতিটি ফিলিস্তিনি’র মনে গাঁথা আছে ইয়াসির আরাফাত’র ছবি। ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রামের এই মহানায়ক ২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেন।
ফিলিস্তিনের সাথে বাংলাদেশ সম্পর্ক অনেকটা জন্মের পর থেকেই। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি ইয়াসির আরাফাতকে বাংলাদেশের জনগণ মহান বন্ধুর মর্যাদা দিয়েছে। বাংলাদেশ অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো প্রথম থেকেই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা এসেছেন, তারা সবাই ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন ইয়াসির আরাফাত। এরপর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ থেকে শুরু করে, বেগম খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনা সবাই নিজ নিজ শাসনামলে ফিলিস্তিনিদের মহান নেতা ইয়াসির আরাফাতকে অকুণ্ঠ সমর্থন অব্যাহত রাখেন।
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতিদানকারী ১৩৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ইয়াসির আরাফাত একাধিকবার রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় এসেছেন, অসংখ্যবার ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রা বিরতি করেছেন।
১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছিলেন ইয়াসির আরাফাত, উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া। এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বর্ণবাদবিরোধী বিশ্বনন্দিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সুলেমান ডেমিরিল।
আজ বিশ্ববরেণ্য এই মানুষ, বাংলাদেশের মহান বন্ধু, ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর ১২ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে।