চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং হতাহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন। রিটে হতাহতের প্রত্যেক পরিবারকে আপাতত ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া এবং নিহত ও আহত শ্রমিকদের একটি তালিকা হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া হতাহতের ওই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া এবং নিহতের পরিবারকে ৩ কোটি টাকা ও আহতদের পরিবারকে ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।
রিটের বিষয়ে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘বাঁশখালীতে হতাহতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে এবং নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে এর আগে একটি লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু সে নোটিশের জবাব না পাওয়ায় আজ হাইকোর্টে রিটটি করা হয়। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, শিল্প সচিব, বাণিজ্য সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের এই রিটে বিবাদী করা হয়েছে।’
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারায় এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের বিক্ষোভে গত ১৭ এপ্রিল পুলিশ গুলি চালালে পাঁচ শ্রমিক নিহত এবং কয়েক ডজন শ্রমিক আহত হন। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরো ২ শ্রমিকের বুধবার মৃত্যু হয়। হতাহতের ঘটনায় এসএম পাওয়ার প্লান্টের পক্ষে একটি ও পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলাটি করেছে। ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে করা মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১০৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর পুলিশের করা মামলায় অজ্ঞাত দুই থেকে আড়াই হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালের এপ্রিলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের পক্ষে ও বিপক্ষে থাকাদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়। আর ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বিষয়ে মতবিনিময়সভা চলাকালে সংঘর্ষে একজন নিহত হন।