প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বিভিন্ন প্রকাশনার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের প্রকাশনা উৎসবের পাশাপাশি একই অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু স্কলারস’ বৃত্তি প্রদান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজের চূড়ান্ত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়ন শহর ভিত্তিক নয়, একেবারে তৃণমূল থেকেই আমরা উন্নয়ন করে আসছি। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের আয়োজনের ফলে মানুষ যেমন ইতিহাসকে জানতে পারবে, সত্যকে জানতে পারবে, আর এর ভেতর থেকে নিজেরা নিজেদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারবে।
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর লেখা ১১টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতি দেশের মানুষের প্রতি যে একটা দায়িত্ব আছে সেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে যতই জানতে পারবে ততই তারা তা উপলদ্ধি করতে পারবে। কেননা, একটা মানুষ তার জীবনের সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন, বাংলাদেশের শোষিত বঞ্চিত মানুষের জন্য।
সরকার প্রধান বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষের যে অবস্থা তা ১৩/১৪ বছর আগেও এমন ছিল না, এটা হলো বাস্তবতা। কিন্তু আমরা সে পরিবর্তন আনতে পেরেছি, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে নিয়ে এত গান, কবিতা এত রচনা হয়েছে যে,আমি জানি না পৃথিবীতে এমন আর কোন নেতা আছে কিনা যাদের নিয়ে এত রচনা হয়েছে। এই রচনাগুলো লোক সাহিত্য থেকে শুরু করে বিজ্ঞান বিষয়ক সর্বক্ষেত্রেই বিস্তৃত।
আজকে নতুন প্রজন্ম ২০৪১ সালের সৈনিক হবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও তিনি বলেন।
তিনি আরও বলেন, একদিকে যেমন দারিদ্রের হার আমরা কমাতে পেরেছি, তেমনি স্বাক্ষরতার হার বাড়াতে পেরেছি। পাশাপাশি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা দিতে পেরেছি এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর যেমন গুরুত্ব দিয়েছিলাম সেখানেও আমরা যথেষ্ট সফল হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এবং জানার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। বাংলাদেশ এখন আর অন্ধকারে পড়ে থাকছে না। বরং বাংলাদেশের মেধাবী ছেলে-মেয়েরাও বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে পারছে, তাদের জ্ঞান আরো উদ্ভাসিত হচ্ছে। প্রযুক্তির সেটাই সবথেকে বড় অবদান।
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর লেখা ১১টি বইয়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা ‘কোটি মানুষের কণ্ঠস্বর’ বইটির সম্পাদনা করেছেন।