সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের আসক্ত হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এর প্রথম প্রেসিডেন্ট শন পার্কার। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ উদ্যোক্তা বলেন, মানুষের দুর্বলতাকে পুঁজি করে তাদের বড় ধরনের ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।
অ্যাক্সিওসকে দেওয়া এ সাক্ষাৎকারে পার্কার বলেন: শিশুদের মস্তিস্কের যে কী ক্ষতি করছে ফেসবুক তা কেবল উপরওয়ালাই বলতে পারবে। ফেসবুককে দানব বলেও অভিহিত করেন তিনি।
তিনি জানান, ফেসবুকের মতো এ ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তৈরির পেছনে মূল যে উদ্দেশ্য কাজ করেছে তা হলো যতটা সম্ভব মানুষের সময় এবং মনোযোগ কেড়ে নেওয়া। প্রতি মুহূর্তেই মস্তিষ্কে ডোপামিনের মতো এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করে কেউ পোস্ট বা ছবিতে লাইক বা কমেন্ট করল কিনা, কিংবা কেউ নতুন কিছু পোস্ট করল কিনা। আর এর মাধ্যমেই ব্যবহারকারীরা এখানে কনটেন্ট বাড়িয়ে চলেছে।
পার্কার বলেন: এর উদ্ভাবক আমি নিজে, মার্ক এবং কেভিন সিস্ট্রোম, আমরা সবাই এই ব্যাপারটি ভালোভাবেই বুঝেছিলাম। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা এই কাজটি করেছি।
তবে পার্কারের এসব বক্তব্য নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ফেসবুক।
ফেসবুক আজ যে অবস্থানে এসেছে, তার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পার্কারের। প্রতিষ্ঠার এক বছরের মাথায় ফেসবুকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দেন তিনি। প্রথমদিকে জাকারবার্গ তাঁর এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী না থাকলেও তখনই এর ভবিষ্যৎ দেখেছিলেন পার্কার। প্রথম বিনিয়োগকারী হিসেবে পিটার থিয়েলকে ফেসবুকে বিনিয়োগ করাতেও রাজি করান তিনি।