কক্সবাজার থেকে: শুরুর ধাক্কা সামলে মুমিনুল-নাসিরদের সামনে ২৩৪ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে পাকিস্তান। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। ৩৫ রানে ৪ উইকেট তুলে সাইফউদ্দিন, আবুল হাসানরা চাপ সৃষ্টি করে পাকিস্তান শিবিরে। পরে জাতীয় দলের হয়ে খেলা হারিস সোহেল ও হাম্মাদ আজম জুটি গড়ে সেই বিপদ কাটান।
পঞ্চম উইকেটে আসা ৮৬ রানের জুটি পাকিস্তানের মাঝারি মানের সংগ্রহ গড়তে ভূমিকা রাখে। ৬৩ রান করে ফেরেন হারিস। ৩০ রান আসে হাম্মাদের ব্যাটে। হুসাইন তালাতের অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংসে সংগ্রহ দুইশ পেরোয়। জাফর গহর ২২ রানের ইনিংস খেলেন।
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন তিনটি উইকেট নেন। শুরুর দুটি উইকেট নিয়ে পাক শিবিরে ধস নামান এই পেসার। আবুল হাসান রাজু ও নাসুম আহমেদ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটি উইকেট নাঈম হাসানের।
পাকিস্তানকে অল্প রানে বেঁধে ফেলতে বোলিংয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। দলের মূল বোলারদের দিয়েই শেষ করান ৫০ ওভার। ১০ ওভার করে বোলিং করেছেন পাঁচ বোলার। শুরুতে ধস নামাতে সাইফউদ্দিনের হাতে তুলে দেন নতুন বল। গেল দুই ম্যাচে প্রথম ওভার করেছিলেন আবুল হাসান রাজু।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
প্যাভিলিয়ন প্রান্ত থেকে বল করে সাফল্য পাচ্ছিলেন না নাসুম। পরে সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে ধেয়ে বাতাসের বিপরীতে বোলিং করে উইকেট দুটি নেন এই স্পিনার। বোলিংয়ে দারুণ কৌশল কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। এবার ব্যাটিংয়ে পারলেই ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চট্টগ্রামে সেমিফাইনাল খেলতে যাবে স্বাগতিকরা।