এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে সি’গ্রুপে অপরাজিত চ্যম্পিয়ন হওয়ায় দারুণ উচ্ছ্বসিত কোচ এবং খেলোয়াড়রা। এমন সাফল্যের পর পারিবারের সঙ্গে ঈদটাও দারুণ কাটাচ্ছেন তারা। উন্নত প্রশিক্ষণ এবং সুযোগ-সুবিধা পেলে ভবিষ্যতে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন বলে জানিয়েছেন কোচ এবং খেলোয়াড়রা।
বাংলাদেশের নারী ফুটবলে একের পর এক সাফল্য, মেলে ধরেছে ফুটবলের নতুন স্বর্ণযুগকে। নেপালে অনূর্ধ্ব-১৪ রিজিওনাল চ্যম্পিয়নশিপের পর এএফসির চ্যম্পিয়নশিপের বাছাইতেও অপ্রতিরোধ্য বাংলার সানজিদা কৃষ্ণারা। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে শক্তিশালী ইরান এবং চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে দাপটের সঙ্গেই জয় ছিনিয়ে এনেছে অনূর্ধ্ব-১৬ দলের মেয়েরা।
এই দলকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখছেন কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। তবে বাস্তবতার ধারায় তিনিও চান মেয়েদের আরো উন্নত মানের ট্রেনিং।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন বলেন, ‘মহিলা ফুটবল শুরু হয়েছে মাত্র কিছুদিন যাবৎ। মেয়েরা যে ফুটবল খেলতে পারে সেটাই তো অনেকের বিশ্বাস ছিল না। মাত্র আড়াই মাস ট্রেনিং করেই শক্তিশালী সবগুলো দলের সঙ্গে খেলায় একচেটিয়া প্রাধান্য বিস্তার করে আমরা জয়লাভ করেছি। এখান থেকেই বোঝা যায়, প্রশিক্ষণ নিলে সঠিক পরিকল্পনামতো নিতে হবে। আর সেটি যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় তবে তা অবশ্যই সুফল বয়ে নিয়ে আসবে।’
তবে পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ধুকছে ফুটবলের বয়সভিত্তিক দলগুলো। একজোড়া ভালো বুট কিংবা ভালো খাবারের অভাবে দলের জন্য নিজেদের সেরা পারফরমেন্স দেখাতে পারছে না অনেকে। হাজারো সীমাবদ্ধতার মধ্যে এই ঈদে কৃষ্ণা সানজিদাদের চাওয়া ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডের মূল পর্বের আগে দীর্ঘমেয়াদী ক্যাম্প।
অধিনায়ক কৃষ্ণা বলেন, মেয়েরা সবাই বাবা-মায়ের সঙ্গে ভালোভাবেই ঈদ করছে। ‘পরিকল্পনা থাকবে, দীর্ঘমেয়াদী প্র্যাকটিসের পর আমরা যে আটটি টিমের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছি, তাদের বিপক্ষে ভালো কিছু করব।’
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে ঈদ কাটানোর আনন্দ প্রকাশ পায় মিডফিল্ডার সানজিদার কথায়। তবে খেলার কথাও গুরুত্বের সঙ্গেই স্মরণ করছেন তিনি, ‘আমরা একটা লম্বা ক্যাম্পিং করতে চাই। সামনের খেলাগুলোতে কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় বড় দলগুলো আসবে আমাদের বিরুদ্ধে খেলতে। আমরাও চেষ্টা করব যেন তাদের সঙ্গে ভালোভাবে লড়তে পারি।’
ঈদের ছুটির পরই ফুটবলার কৃতী মেয়েদের সংবধর্না দেয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।