ফ্রান্সের প্যারিসে নারকীয় হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরিচয় পাওয়া গেলো এক হামলাকারীর। হামলার পরপরই নিহত ওই জঙ্গির নাম ওমর ইসমাইল মোস্তেফাই। ২৯ বছর বয়সী ওই জঙ্গি প্যারিসের দক্ষিণ প্রান্তের শহরতলি কুরকুরনসের বাসিন্দা।
ফরাসি পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, শতাব্দীর প্রাচীন বাতাক্লা থিয়েটারে হামলা চালায় ওই জঙ্গি। মার্কিন রক ব্যান্ড ঈগলস অব ডেথ মেটালের অনুষ্ঠান চলাকালীন বাতাক্লাঁ কনসার্ট হলে হানা দেয় ওমর এবং তার দলবল। প্রত্যেকেরই হাতে অটোমেটিক কালাশনিকভ রাইফেল এবং কোমরে সুইসাইড বেল্ট। পুলিশ আসার আগেই নিজেকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয় ওই জঙ্গি।
হামলার পরপরই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ বলেছিলেন, ‘ফ্রান্সে নয় বাইরের দেশে বসেই এই হামলার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা হয়, তবে এতে পুরো মদত জোগায় দেশের মধ্যে থাকা শত্রুরাই। বহির্বিশ্বের ইন্ধন কতোটা তা তদন্ত করেই বোঝা যাবে।’ ফরাসী পুলিশের তদন্তের ফল মিলে গেলো ওলাঁদের ধারণার সাথে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে গেছে, কট্টর মৌলবাদে দীক্ষিত ছিল ওমর। ২০১০ সালে তাকে মৌলবাদী হিসেবে চিহ্নিতও করেছিলো ফরাসি পুলিশ।
প্যারিসের সরকারি আইনজীবী ফ্রাঁসোয়া মোলিন্স জানিয়েছেন, পুলিশের খাতায় নাম ছিল ওই জঙ্গির। পুলিশের রেকর্ডে থাকা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেখেই চিহ্নিত করা গেছে ‘ফ্রাইডে দ্য থার্টিন্ত’ এ প্যারিসে হামলা চালানো ওমরের। তার বাবা এবং এক ভাইকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ফরাসি পুলিশ। খোঁজ চলছে নিহত জঙ্গির আরও পরিচিতেরও। তাদের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
তিন দলে ভাগ হয়ে কসমোপলিটন শহর প্যারিসের সাত জায়গায় হামলা চালিয়েছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাত জঙ্গি। হামলার দায় স্বীকার করে আইএস জঙ্গি সংগঠন। নিহত সাত জঙ্গির মধ্যে ছয় জন কোমরে বিস্ফোরক বাঁধা বেল্টে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। পুলিশের গুলিতে মারা যায় অপর জঙ্গি।