সরকারের ঘরের লোক নয়, জাতীয় ঐক্যর ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবী বিএনপির। তবে আওয়ামী লীগ বলছে বিএনপির মতামতের উপর নির্ভর করে নয়, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিই পূর্নগঠন করবেন ইসি । আর জাতীয় পার্টি বলছে বর্তমানের মত বিতর্কিত আর ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন মেনে নেবে না তারা ।
আগামী নির্বাচন পদ্ধতি এবং কাদের পরিচালনায় হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সেই ভাবনাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার আশায় নির্বাচন পদ্ধতি ও নির্বাচন কমিশনার নিয়ে নিজের দলের অবস্থান জানালেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী । জানালেন জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপির প্রস্তুতির কথা ।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়া আমাদের নির্ধারন করতে হবে। এবং সেটা বিগত দিনে যেভাবে হয়ে এসেছে এবারো সেভাবে হবে। সবদেশেই ঐক্যের ভিত্তিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সরকার ও সংসদের জন্য নির্বাচন দরকার। সেই নির্বাচনে বিএনপি অবশ্যই অংশগ্রহণ করবে।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী মেয়াদ শেষ হবে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চার কমিশনারের মেয়াদ কাল। ৫ বছর আগে প্রথমবারের মত সার্চ কমিটি গঠন করে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল নির্বাচন কমিশনারদের। এবার কি হবে?
এমন ভাবনা থেকে সরকারী দল বলছে কোনো দলের মতামতে ইসি পুনর্গঠন চায়না তারা ।
এবিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব- উল আলম হানিফ বলেন, অন্তত বিএনপির পক্ষ থেকে এধরনের মন্তব্য জাতি প্রত্যাশা করে না। কারণ দেশবাসীর স্মরণে অাছে এই বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলো যেটা ছিলো বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায়।
যারা অযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলো তাদের কাছ থেকে অন্য সরকারের সময় গঠিত নির্বাচন কমিশন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য আসতেই পারে। পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করলেই যে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বাংলাদেশে এমন উদাহরণ খুব একটা নেই।
কাদের পরিচালনায় হবে আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপির মত সেই চিন্তা প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিরও। চিন্তা থেকেই জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, সার্চ কমিটি একটি পদ্ধতি। এটি অবলম্বন করে গতবার প্রধান নির্বাচন কমিশন এবং কমিশনারদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো।
তার ফলাফল অামাদের কাছে ভালো আসে নাই। এবং রাজনৈতিক দলগুলো তাদের আচরণে সুখে নেই। তাই এই ধরনের নির্বাচন কমিশনার আমরা আর চাই না। একটি কথাই বলতে চাই ভুল থেকেই শিক্ষা নিতে হবে।
বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রূপরেখা নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রস্তাবনা তৈরীর কাজে হাতে নিয়েছে।