অন্তত আরো ২ বছর ক্ষমতায়থাকছে এই সরকার এটা নিশ্চিত, তবে ২০১৯ সালের কোনো সময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে তা একান্তই প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। সরকারের দু’বছর পূর্তি উপলক্ষে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দুরবস্থা দূর করতে বিশেষ মনোযোগ ছিলো এই খাতে। এখন মানব সম্পদ উন্নয়ন বিশেষ করে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যে বাড়তি নজর দেবেন তিনি।
১২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের ২ বছর পূরণ হলো। কোনো ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা ছাড়াই ক্ষমতার ২য় মেয়াদে ৩য় বছর শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের। সুস্থির রাজনৈতিক অবস্থার পুরো ফায়দা অর্থনীতিতে প্রতিফলিত হয়েছে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে, তবে সামষ্টিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে দ্বিধা নেই কারো।
গত মাসেই বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ডক্টর কৌশিক বসুও বলে গেছেন বাংলাদেশ উড়ন্ত সূচনার জন্য তৈরি হয়ে আছে। অভ্যন্তরীন এবং আন্তর্জাতিক এই স্বস্তির ওপর ভর করে দেশকে আরো এগিয়ে নিতে চান অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যেহেতু টানা ২ বার ক্ষমতায় থাকার সুযোগ পেয়েছি তাই উন্নয়নের অন্যরকম একটা গতি পাওয়া গেছে। আমরা বুঝতে পেরেছি কোন কাজটা করতে পেরেছি আর কোনটা পারিনি। সরকারের কিছু কিছু কাজ সম্পন্ন করতে হলে বাজেট বাড়াতে হবে, প্রকল্প বাড়াতে হবে, সম্পদের উন্নয়ন করতে হবে। সেসব উদ্দেশ্য কমবেশি আমরা পূরণ করতে পেরেছি। এখন আমরা এমন সব এলাকায় যেতে চাই, যেগুলো সচরাচর ধরা পড়ে না। আমাদের উন্নতি হয়েছে খাদ্যে। সেখানে আর কোনো ঘাটতি নেই। আর গ্রামীন পূর্ত কর্মে যেমন রাস্তাঘাট, নদীর সংস্কার এসব ক্ষেত্রে ভালো কাজ হয়েছে।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
সরকারের এই মেয়াদে অতীতের মতোই গুরুত্ব পাবে অবকাঠামো খাত। তবে সামাজিক উন্নয়নের সূচকগুলো আরো পোক্ত করতে বাড়তি মনোযোগ থাকবে সরকারের।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, আজ আমরা মধ্য আয়ের দেশ হয়েছি। বিশাল এক অর্জন। স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশের তালিকায় স্থান অর্জনই আমাদের বড় অর্জন। আরেকটি কৃতিত্বের দিক হলো সামাজিক সূচক।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বড় কোনো শারীরিক অসুস্থতা না হলে আগামী দুই অর্থবছরের বাজেটও দেবেন তিনি।